নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে সিরাজউদদৌলার সম্পত্তি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:১৩

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদদৌলার সম্পত্তি তলিয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে। তা এক ঐতিহাসিক নিদর্শন। অথচ সেসব সংরক্ষণে কোনো উদ্যোগই নেই।
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে এ সংক্রান্ত মামলায় হেরিটেজ কমিশনকে তোপ দাগলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। এ প্রসঙ্গে তিনি মহাবলীপুরম ও কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ রক সংরক্ষণের কথা মনে করান।
রাজ্যকে এনিয়ে আগামী সপ্তাহের মধ্যে নিজেদের অবস্থান জানাতে হবে উচ্চ আদালতে। পাশাপাশি আরকিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে এই মামলায় সংযুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের সিরাজউদদৌলার শেষ স্মৃতি বাঁচানো যায় মহাবলীপুরম শিক্ষা নিয়ে। এ রাজ্যে হেরিটেজ কমিশনের কোনো উদ্যোগ নেই। নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছে কমিশন।
বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যকে এমনই পরামর্শ দিলেন উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে। তার প্রশ্ন, ‘রাইটার্স বিল্ডিং নিয়ে কি রেকমেন্ড করেছেন?’
ইতিহাস সংরক্ষণ নিয়ে কমিশন প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, ‘হেরিটেজের জায়গায় বড় বড় হাইরাইজ বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে। পুরনো ইতিহাস রক্ষার পরিবর্তে তা ভেঙে ফেলা হচ্ছে। যেকোনো কিছু ভেঙে ফেলা খুব সহজ। ৪৮ ঘণ্টায় করে ফেলতে পারবেন। কিন্তু ফেরাতে পারবেন না। দুটি রাজ্যে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এসেছিল। এ রাজ্য তার মধ্যে একটা। অথচ সে বিষয়ে কারো উদ্যোগ নেই।’
সরকারি আইনজীবী সুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৫৮ সালে বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদদৌল্লার সম্পত্তি নষ্ট করে ফেলেছিল। মাত্র ৯ বিঘা জমি ছিল। তাও ভাগীরথীর ভাঙনে চলে যাচ্ছে। আমাকে এই বিষয়ে আরও সময় দেওয়া হোক।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ইতিহাস যেটুকু আছে, সেটা রক্ষা না করলে ৯ বিঘাও থাকবে না। মহাবলিপুরমের কথা শুনেছেন? কন্যাকুমারীতে দেখেছেন স্বামী বিবেকানন্দ রককে কীভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে? সেখানে ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে।’
- ওএফ