Logo

আন্তর্জাতিক

রমজানে আল-আকসায় প্রবেশে ইসরায়েলের ‘কড়াকড়ি’

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬:৪৯

রমজানে আল-আকসায় প্রবেশে ইসরায়েলের ‘কড়াকড়ি’

পবিত্র রমজান মাসে জেরুজালেমের পুরাতন শহরে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদে এবারো তথাকথিত ‘নিরাপত্তামূলক বিধিনিষেধ’ আরোপ করবে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দেয় দেশটি।

ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান আল-আকসা মসজিদে হাজারো মুসলমান রমজান মাসে নামাজ ও তারাবিহ আদায় করতে আসেন। পূর্ব জেরুজালেমের এই অংশ ইসরায়েল দখল করে রেখেছে।

ফিলিস্তিনিদের সামনে এ বছর এমন এক সময় রমজান উপস্থিত —যখন গাজার যুদ্ধবিরতি অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় রয়েছে। এই যুদ্ধবিরতিতে লড়াই অনেকাংশে বন্ধ থাকলেও এর আগে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ সংঘাতে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।  

ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র ডেভিড মেনসার এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, জননিরাপত্তার স্বার্থে প্রতি বছরের মতো এবারো বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে।

গত বছর গাজার যুদ্ধে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ আল-আকসায় প্রবেশে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। বিশেষ করে অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকে আগত ফিলিস্তিনিদের ক্ষেত্রে।

গত বছর নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে শুধুমাত্র ৫৫ বছরের ঊর্ধ্বে পুরুষ ও ৫০ বছরের বেশি বয়সী নারীদের আল-আকসা চত্বরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। জেরুজালেম শহরজুড়ে হাজার হাজার ইসরায়েলি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।  

এ বছরও একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মেনসার। তবে পুলিশ মোতায়েনের বিস্তারিত তথ্য দেননি তিনি।

আল-আকসা মসজিদ শুধুমাত্র ধর্মীয় স্থান নয়, এটি ফিলিস্তিনি জাতীয় পরিচয়েরও প্রতীক। দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, ইহুদিরা মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করলেও সেখানে প্রার্থনা করতে পারেন না। 

আল-আকসা কম্পাউন্ড ইহুদিদের কাছে দ্বিতীয় মন্দিরের নির্ধারিত স্থান হিসেবে বিবেচিত, যা ৭০ খ্রিস্টাব্দে রোমানরা ধ্বংস করেছিল।  

তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উগ্র জাতীয়তাবাদী ইহুদিরা এই নিয়ম ভেঙে মসজিদ চত্বরে প্রবেশ করে প্রার্থনা করছে। এমনকি কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক ইতামার বেন-গভির, যিনি ২০২৩ ও ২০২৪ সালে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ছিলেন, তিনি প্রকাশ্যে আল-আকসায় গিয়ে প্রার্থনা করেছেন।  

ইসরায়েলি সরকার বারবার বলেছে যে, তারা আল-আকসায় প্রচলিত নিয়ম বজায় রাখতে চায়। কিন্তু ফিলিস্তিনিরা আশঙ্কা করছে, আল-আকসা মসজিদ নিয়ে ইসরায়েলের ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা রয়েছে —যা সহিংসতার নতুন কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে।

ওএফ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর