‘নারীদের শিক্ষাবঞ্চিত করা ইসলামবিরুদ্ধ’ বলাতেই আলেমের ওপর হামলা!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:০১
-67c1c1d21f8e0.jpg)
পাকিস্তানের বরেণ্য আলেম ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের (এস) প্রধান নেতা মাওলানা হামিদুল হক হক্কানি আকোরা খাট্টাকে অবস্থিত তার পরিচালনাধীন মাদ্রাসায় আত্মঘাতি বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজের পর মাদ্রাসা-মসজিদের বহির্গমন রাস্তায় হামলার ঘটনাটি ঘটে। সূত্র জানিয়েছে, হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিলেন মাওলানা হক্কানি।
সূত্র আরও নিশ্চিত করেছে যে, ‘নারীদের শিক্ষাবঞ্চিত করা ইসলামবিরুদ্ধ’ আখ্যা দিয়েছিলেন মাওলানা হামিদুল হক। এই বক্তব্যের পর তাকে হুমকিও দেওয়া হয়েছিল।
এজন্য প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে তার ওই বক্তব্যের কারণে হত্যা করা হয়েছে।
মাওলানা হামিদুল হক হক্কানি জমিয়তের সাবেক নেতা মাওলানা সামিউল হক হাক্কানির ছেলে। সামিউল হকও আততীয়দের হামলায় নিহত হয়েছিলেন। বাবার মতো তারও একই পরিণতি হলো।
মাওলানা হক্কানি ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত জাতীয় পরিষদের সদস্যও ছিলেন। যখন তার বাবা হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তখন তিনি দলীয় প্রধানের দায়িত্ব নেন।
গত বছর পাকিস্তানের ধর্মীয় নেতাদের একটি দলকে নেতৃত্ব দিয়ে আফগানিস্তানে গিয়েছিলেন তিনি। যেটিকে ওই সময় ‘ধর্মীয় কূটনীতি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছিল।
আফগানিস্তানে গিয়ে তালেবানের উচ্চপদস্থ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বরেণ্য এ আলেম। ফিরে এসে তিনি দাবি করেছিলেন, তার এ বৈঠকের কারণে কাবুল ও ইসলামাবাদের মধ্যে অবিশ্বাস দূর হয়েছিল।
সূত্র : জিও নিউজ ও অন্যান্য
বিএইচ/