Logo

আন্তর্জাতিক

ওয়ারেন্ট ছাড়াই খলিলকে গ্রেপ্তার করেছিল অভিবাসন পুলিশ

Icon

নিউইয়র্ক প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:১৮

ওয়ারেন্ট ছাড়াই খলিলকে গ্রেপ্তার করেছিল অভিবাসন পুলিশ

মার্কিন অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ (আইসিই) এজেন্টরা ওয়ারেন্ট ছাড়াই মাহমুদ খলিলকে গ্রেপ্তার করেছিল। তবে এটি আইনগতভাবে বৈধ ছিল বলে আদালতে দাবি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

খলিলের আইনজীবীরা লুইজিয়ানার এক ইমিগ্রেশন বিচারকের কাছে মামলাটি বাতিলের আবেদন করেছেন। সেখানে তিনি কয়েক সপ্তাহ ধরে আটক রয়েছেন। তাদের দাবি আইসিই এজেন্টরা কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়াই তাকে গ্রেপ্তার করেছেন, যা অবৈধ।

যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ (ডিএইচএস) বলেছে, কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ছাত্র ও ফিলিস্তিনপন্থী অ্যাক্টিভিস্ট খালিলকে ‘জরুরি পরিস্থিতির’ কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

ডিএইচএসের একজন আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, মার্চের শুরুতে নিউইয়র্কে আইসিই এজেন্টরা খলিলকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তারা আশঙ্কা করেন, ওয়ারেন্ট আনার আগেই তিনি পালিয়ে যেতে পারেন। তাই তারা ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেপ্তার করেন।

অন্যদিকে, খলিলের আইনজীবীরা বলেছেন, গ্রেপ্তারের সময় তিনি কোনো ধরনের অসহযোগিতা করেননি, বরং পুরোপুরি সহযোগিতা করেছিলেন—এবং এ বিষয়ে যথাযথ প্রমাণ ও সাক্ষীর বয়ান রয়েছে। আইনজীবীর যুক্তি প্রমাণ নয় বলে তারা উল্লেখ করেন।

খালিল একজন গ্রিন কার্ডধারী। প্রায় দুই মাস ধরে আটক রয়েছেন। গত বছর কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রো-প্যালেস্টাইন ক্যাম্পেইনের প্রধান আলোচক হিসেবে তার ভূমিকার কারণে তাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক আদালতের নথিতে ফেডারেল এজেন্টরা দাবি করেন, গ্রেপ্তারের সময় খলিল তার গ্রিন কার্ড সঙ্গে রাখেননি। যা একটি ছোট অপরাধ। খলিলের স্ত্রী জানান, তিনি তাদের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে গ্রিন কার্ড আনতে গিয়েছিলেন ও পরে তার গ্রেপ্তারের ভিডিও ধারণ করেন।

নথিতে আরও বলা হয়, ওয়ারেন্টের প্রয়োজনীয়তা প্রযোজ্য ছিল এবং ৮ মার্চ এজেন্টরা বৈধ কর্তৃত্বের আওতায় খালিলকে গ্রেপ্তার করেন।

খলিলের মামলা এখন জাতীয়ভাবে আলোচিত হয়ে উঠেছে এবং অনেকেই এটিকে ট্রাম্প প্রশাসনের ফিলিস্তিনপন্থী ভিসাধারীদের আটক ও বহিষ্কারের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেখছেন।

খলিলের আইনজীবীরা সম্প্রতি আদালতে আবেদন করেছিলেন, যেন তিনি সাময়িকভাবে মুক্তি পান এবং প্রথম সন্তানের জন্ম প্রত্যক্ষ করতে পারেন। তবে সেই আবেদন নাকচ করে দেওয়া হয়েছে এবং তার স্ত্রী ইতোমধ্যে সন্তান জন্ম দিয়েছেন।

এই মাসের শুরুতে একজন বিচারক রায় দেন যে খলিলকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা যেতে পারে। তার আইনজীবীরা এখন সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করছেন এবং তার মুক্তির আবেদন করছেন ফেডারেল আদালতে।

ওএফ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর