সিরিয়ার রাজধানীতে বিদ্রোহীরা, বাশারের খোঁজ মেলেনি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৬
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে বিদ্রোহীরা প্রবেশ করেছে। বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এই মুহূর্তে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ কোথায় আছেন তা স্পষ্ট নয়।
তার অফিস জনিয়েছিল, তিনি এখনো দামেস্কে। কিন্তু তাকে দেখা যায়নি।
বিদ্রোহীদের সামরিক প্রশাসনের বরাতে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে এইচটিএস বলেছে, ‘আমাদের বাহিনী রাজধানী দামেস্কে প্রবেশ করতে শুরু করেছে।’
ইসলামপন্থী গোষ্ঠী তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) গত ৩০ নভেম্বর আক্রমণ শুরু করে। এরপর থেকে তারা সিরিয়ার প্রধান শহরগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
গত ৩০ নভেম্বর অভিযান শুরুর পর থেকে ইতোমধ্যে হোমস, দেইর আল জোর, হামা ও আলেপ্পো নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে তাদের হাতে। সিরিয়া দখলের অভিযানে নামা এই বিদ্রোহীরা মূলত সিরিয়ার বিভিন্ন সুন্নিপন্থি স্বশস্ত্রগোষ্ঠীর সদস্য ও যোদ্ধা। বিদ্রোহীদের নেতৃত্বে রয়েছে হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)।
হায়াত তাহরির-আল-শাম পুরোনো একটি দল। এটি ২০১১ সালে জাবহাত আল-নুসরা নামে আত্মপ্রকাশ করেছিল। দলটির সঙ্গে আল কায়েদার সরাসরি সংযোগ ছিল। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে তারা নাম পরিবর্তন করে। জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদি এই দলটি তৈরির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
২০১১ সালে আল কায়দা, ইসলামিক স্টেটসহ সিরিয়ার বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। তাদের এ যুদ্ধের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাশারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা।
গৃহযুদ্ধের এক পর্যায়ে সিরিয়া এবং সীমান্তবর্তী অপর দেশ ইরাকের বিশাল এলাকা জুড়ে নিজেদের রাজ্যও গঠন করে আইএস। সিরিয়ার রাক্কা শহর ছিল সেই রাজ্যের রাজধানী।
বিদ্রোহী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো অবশ্য বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি। কারণ সে সময় বাশার আল আসাদকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিল রাশিয়া, ইরান ও লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। মূলত এই তিন মিত্রশক্তির ওপর ভর দিয়েই ২০২১ সালে বিদ্রোহী বাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করেন আসাদ।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা ইউনাইটেড নেশন্স হিউম্যান রাইটসের তথ্য অনুযায়ী, সিরিয়ায় ২০১১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত গৃহযুদ্ধে সিরিয়ায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩ লাখ ৫ হাজারেরও বেশি সংখ্যক মানুষ।
ওএফ