আরকান আর্মির দখলে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৩
বাংলাদেশ-মিয়ানমারের ২৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আরাকান আর্মি (এএ)। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) মিয়ানমারের মংডু টাউনশিপ দখল নেয় আরকান আর্মি।
মিয়ানমারের গণমাধ্যম দ্য ইরাবতি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আরকান আর্মি জানিয়েছে, মংডুর জান্তা নিয়ন্ত্রিত বর্ডার গার্ড পুলিশে (বিজিপি) শেষ সীমান্ত ঘাঁটি কয়েক মাস লড়াইয়ের পর রোববার সকালে দখল করে।
রাখাইন মিডিয়া সোমবার জানিয়েছে, আরকান আর্মি মংডুর যুদ্ধের পরে প্রায় ৮০ রোহিঙ্গা বিদ্রোহীসহ জান্তা বাহিনীর সামরিক অপারেশন কমান্ড-১৫ এর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরেইন তুনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরকান আর্মি মে মাসের শেষের দিকে মংডু আক্রমণ শুরু করে। শহরটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে ছয় মাস লেগেছে।
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মায়ানমারের তিনটি শহরেরই নিয়ন্ত্রণ দাবি করছে- রাখাইন রাজ্যের মংডু, বুথিডাং ও চিন রাজ্যের পালেতোয়া। পালেতোয়া শহরের সাথে ভারতের সীমান্তও রয়েছে।
রাখাইনে যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী একজন সামরিক বিশ্লেষক বলেছেন, আরকান আর্মির এই বিজয়ের ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য পুনঃস্থাপন ও পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যে বসবাসকারী মানুষের দুর্দশা কমাতে সাহায্য করবে।
জাতিসংঘ গত মাসে জানিয়েছে, রাখাইনে ২০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন। জান্তা সরকার ওই রাজ্যের দিকে যাওয়ার রাস্তা ও নৌপথ অবরোধ করেছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তাসহ খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধ সরবরাহে বাধা দিয়েছে।
ওই বিশ্লেষক আরও বলেন, রাখাইন রাজ্যে জটিল রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করতে চাইলে বাংলাদেশ সরকারকে আরকান আর্মির সাথে অর্থপূর্ণ সংলাপ শুরু করতে হবে।
এই বাহিনী এখন দক্ষিণ রাখাইনের গওয়া, টাঙ্গাপ ও আন টাউনশিপের নিয়ন্ত্রণের জন্য লড়াই করছে।
আরকান আর্মি ইতোমধ্যে অ্যান শহরের ৩০টিরও বেশি জান্তা ঘাঁটিসহ বেশিরভাগ এলাকা দখল করেছে। শুধুমাত্র পশ্চিম সামরিক কমান্ড সদর দপ্তরটি দখলে নেওয়া বাকি রয়েছে।
আরকান আর্মি মিয়ানমারের জাতিগত অ্যালায়েন্সের সদস্য, যারা গত বছরের অক্টোবরে অপারেশন ১০২৭ শুরুর পর থেকে উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যের রাজধানী লাশিওসহ বেশিরভাগ এলাকা দখল করেছে।
আরকান আর্মি গত বছরের নভেম্বরে নিজ রাজ্যে অপারেশন শুরু করে। রাখাইন রাজ্যের ১৭টি টাউনশিপের মধ্যে ১৩টি ও প্রতিবেশী চিন রাজ্যের পালেতোয়া টাউনশিপ দখল করেছে।
ওএফ