ইউএনএইচসিআর
ইউরোপের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় সিরিয়ার ১ লাখ ৩০ হাজার আশ্রয়প্রার্থী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৫৯
ছবি : সংগৃহীত
প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি সিরিয়ান আশ্রয়প্রার্থী ইউরোপে আশ্রয়ের আবেদন প্রক্রিয়ার ফলাফল পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আল-জাজিরাকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইউএনএইচসিআর জানায়, ১ লাখ ৩১ হাজার ৫৭৪ জন সিরিয়ান ইউরোপ জুড়ে আশ্রয় পাওয়ার আবেদন প্রক্রিয়ার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছে।
ইউএনএইচসিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সিরিয়ার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ইতালি ও অস্ট্রিয়া সিরিয়ানদের আশ্রয় আবেদন স্থগিত করেছে। যার ফলে ৮৫ হাজারেরও বেশি আবেদন এখন পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে।
তবে ইউএনএইচসিআর বলেছে, আশ্রয়প্রার্থীদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে হবে এবং তাদেরকে ফিরিয়ে পাঠানো যাবে না।
তবে ইউএনএইচসিআর-এর একজন মুখপাত্র আল-জাজিরাকে ইমেইলে জানান, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত লোকেরা আশ্রয়ের জন্য আবেদন করতে পারে এবং আশ্রয়ের আবেদন জমা দিতে সক্ষম হয় ততক্ষণ সিরিয়ানদের কাছ থেকে আশ্রয় আবেদন প্রক্রিয়া স্থগিত করা গ্রহণযোগ্য।’
ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, যখন সিরিয়ায় পরিস্থিতি আরও পরিষ্কার হবে, তখন ইউএনএইচসিআর সিরিয়ানদের আন্তর্জাতিক সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে রাষ্ট্রগুলোকে নির্দেশনা দেবে।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, যেসব সিরিয়ান আশ্রয়প্রার্থী তাদের আবেদন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া আবারও শুরু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন, তাদেরকে অন্যান্য আশ্রয়প্রার্থীদের মতো একই অধিকার দেওয়া উচিত। বিশেষ করে আশ্রয় শর্তের ক্ষেত্রে।
ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, কোনো আশ্রয়প্রার্থীকে জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো উচিত নয়। কারণ এতে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ‘নন-রিফোলমেন্ট’ (ফেরত পাঠানো থেকে বিরত রাখা) নীতির বিরোধিতা করা হবে।
এদিকে, সিরিয়ার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর কিছু ইউরোপীয় দেশ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সিরিয়ানদের আশ্রয় আবেদন স্থগিত রেখেছে। এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, নরওয়ে, ইতালি, অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, সুইডেন, বেলজিয়াম, ফ্রান্স এবং নেদারল্যান্ডস।
সংবাদমাধ্যম রয়টার্স থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর সিরিয়ার শরণার্থীদের আবেদনের শীর্ষ দেশ ছিল জার্মানি। এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বরের শেষে জার্মানিতে প্রায় ৭২ হাজার ৪২০টি আবেদন জমা পড়েছিল। এছাড়া, প্রায় ৪৭ হাজার ২৭০টি আবেদনের এখনও নিষ্পত্তি হয়নি।
এসবি