ইতালির বিমান ইঞ্জিন তৈরির কোম্পানি এখন তুর্কি বায়কারের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৪
ছবি : সংগৃহীত
ইতালির বিখ্যাত পিয়াজ্জিও অ্যারোস্পেস বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে দেশটির সরকার। তুর্কি ড্রোন কোম্পানি বাইকার এই প্রতিষ্ঠানটি অধিগ্রহণে আর কোনো বাধা রইল না।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় বায়কার। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদসংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
‘আকাশের ফেরারি’ নামে পরিচিত পিয়াজ্জিও অ্যারোস্পেস তার পি.১৮০ আভান্তি বিজনেস জেটের জন্য বিখ্যাত।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৮৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ঐতিহাসিক বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি বিমান ইঞ্জিনও তৈরি করে। দীর্ঘসময় ধরে ইতালির প্রতিরক্ষা খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে পিয়াজ্জিও অ্যারোস্পেস।
একাধিক দেশের প্রতিদ্বন্দ্বিদের পেছনে ফেলে পিয়াজ্জিও অ্যারোস্পেস কিনতে সফল হয়েছে তুরস্কের আনম্যানড কমব্যাট এরিয়েল ভেহিক্যাল (ইউএসিএভি) নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বায়কার।
ইতালির এন্টারপ্রাইজেস এবং মেড ইন ইতালিবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডলফো উরসো এক প্রেস রিলিজে বলেছেন, পিয়াজ্জিও অ্যারোস্পেসের নতুন দিকনির্দেশনা ইতালির প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ছয় বছর অপেক্ষার পর আমরা পিয়াজ্জিও এরোস্পেসকে দিচ্ছি।
বায়কারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা অনুযায়ী, তারা পিয়াজ্জিওর মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং কোম্পানির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বজায় রাখবে।
বায়কার এই অধিগ্রহণের মাধ্যমে ইউরোপীয় বিমান শিল্পে তার প্রভাব বিস্তার করতে চায়। তারা জানিয়েছে, তারা পিয়াজ্জিও অ্যারোস্পেসের ঐতিহাসিক পরিচয় সংরক্ষণ করবে। পাশাপাশি এর উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করবে।
তুর্কি সরকারও এই পদক্ষেপকে তুরস্ক ও ইতালির মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত করার একটি সুযোগ হিসেবে দেখছে।
তুরস্কের শিল্পমন্ত্রী মেহমেত ফাতিহ কাসির এই অধিগ্রহণকে তুরস্কের বিমান শিল্পের এবং বায়কার ‘বিশ্বমঞ্চে যে সাফল্য অর্জন করেছে তার একটি সূচক’ বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেন, 'এই সহযোগিতা তুরস্ক ও ইতালির মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধন ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে অবদান রাখবে।’
বায়কারের সিইও হালুক বায়রাক্তার বলেন, ‘এই পদক্ষেপের মাধ্যমে আমরা ইউরোপে তুর্কি বিমান শিল্পের শক্তি প্রতিষ্ঠিত করব।’
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে বায়কার ১.৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে তুরস্কের শীর্ষ ১০ রপ্তানিকারকদের মধ্যে স্থান পেয়েছে। বর্তমানে তারা বিশ্বের শীর্ষ ড্রোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি হিসেবে পরিচিত।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাংক সেন্টার ফর এ নিউ আমেরিকান সিকিউরিটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক মনুষ্যবিহীন আকাশযান (ইউএভি) রপ্তানি বাজারের ৬৫ শতাংশই তুরস্কের দখলে।
এসবি/ওএফ