Logo
Logo

আন্তর্জাতিক

প্রচণ্ড শীত আর বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত গাজা, ৫ শিশুর মৃত্যু

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:০২

প্রচণ্ড শীত আর বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত গাজা, ৫ শিশুর মৃত্যু

ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত গাজা উপত্যকায় শীতের কারণে জনজীবন মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এরই বৃষ্টিতে বেশ কিছু তাঁবু পানিতে তলিয়ে গেছে। ইতোমধ্যে হাইপোথার্মিয়ার কারণে পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, শীতকালীন বৃষ্টির কারণে দেইর এল-বালাহ ও দক্ষিণ খান ইউনিসের আশ্রয়কেন্দ্রের অনেক তাঁবু ডুবে গেছে।

আরও পড়ুন : মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা জুড়ে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা

এর আগে, গাজা কর্তৃপক্ষ কয়েক দিনের মধ্যে এই অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তা দেয়। মঙ্গলবার আরও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

মিডিয়া অফিসের বরাতে জানা গেছে, বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের অধিকাংশই জরাজীর্ণ তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছেন। যা তাদেরকে শীতের ঠান্ডা থেকে রক্ষা করতে পারে না। গাজার বাসিন্দারা এক লাখ ৩৫ হাজার তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছেন। যার মধ্যে এক লাখ ১০ তাঁবুই ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত নয়।

এদিকে, গাজায় শীতকালীন প্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ প্রবেশে কঠোর নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। ত্রাণ গোষ্ঠীগুলোর তথ্য মতে, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনির শীতকালে বেঁচে থাকার জন্য পর্যাপ্ত আশ্রয় নেই। শীতে এখানকার তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে।

ইসরায়েলের অবিরাম বোমাবর্ষণের কারণে বহু ভবন ধসে গেছে। ফলে এই শীতে গাজায় আরও কম ভবন দাঁড়িয়ে আছে। এই কারণে গাজায় তাঁবু ছাড়া থাকার মতো তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই।

আর বারবার ইসরায়েলি হামলা থেকে পালাতে থাকা ফিলিস্তিনিরা তেরপলিন, কম্বল, বোর্ড এমনকি পুরনো চালের বস্তা দিয়ে তৈরি অস্থায়ী তাঁবুতে আশ্রয় নিচ্ছে। গাজায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রিপল, পলিথিন ও প্লাস্টিকের বড় কোনো সরবরাহ নেই।

নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল বলেছে, গাজার ২ লাখ ৮৫ হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি নভেম্বরের শেষের দিকে প্রয়োজনীয় আশ্রয় সামগ্রী পেয়েছে। এখনো সাড়ে লক্ষাধিক মানুষের কাছে সহায়তা পৌঁছানো প্রয়োজন।

ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, গাজায় প্রবেশের জন্য ইসরায়েলে অনুমোদনের অপেক্ষায় কয়েক মাস ধরে কম্বল, বিছানা ও অন্যান্য শীতকালীন সামগ্রী আটকে আছে।

রোববার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় আরও ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে গাজার আল-ওয়াফা হাসপাতালে চালানো হামলায় সাতজন মারা গেছেন। ইসরায়েলি বাহিনী আল-ওয়াফা হাসপাতালের পাশাপাশি আহলি হাসপাতালেও গোলাবর্ষণ করেছে। 

গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ হাজার ৫১৪ জনে পৌঁছেছে। আরও লক্ষাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। এখনো ধ্বংসস্তুপের নিচে ১০ হাজারের বেশি মানুষ চাপা পড়ে আছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

ওএফ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর