৩৩ বছর পর নিউইয়র্কে হত্যাকাণ্ডের শিকার নারীর পরিচয় মিলেছে
নিউইয়র্ক প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৮
ছবি : সংগৃহীত
প্রায় ৩৩ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কুইন্সে হত্যাকাণ্ডের শিকার এক নারীর পরিচয় মিলেছে। এর আগে ১৯৯১ সালের আগস্টে ক্রস আইল্যান্ড এক্সপ্রেসওয়ের পাশে ক্যামব্রিয়া হাইটসের নিকটবর্তী একটি ঘাসযুক্ত এলাকায় তার দেহ পাওয়া যায়।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) কুইন্সের জেলা অ্যাটর্নি মেলিন্ডা ক্যাটজ এই তথ্য জানিয়েছেন।
অ্যাডভান্সড ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে, হত্যার শিকার নারীর নাম জুডি রদ্রিগেজ। তাকে ১৯৯১ সালের জানুয়ারি মাসের ২৩ তারিখে তার মেয়ের প্রথম জন্মদিনের পার্টিতে শেষবার দেখা গিয়েছিল। এর কিছুদিন পর তার পরিবার তাকে নিখোঁজ হিসেবে রিপোর্ট করে।
১৯৯২ এবং ১৯৯৩ সালে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত চারজন পুরুষের বিচার এবং শাস্তি নিশ্চিত হয়। কিন্তু ভুক্তভোগীর পরিচয় তখনও অজানা ছিল।
জেলা অ্যাটর্নি ক্যাটজ বলেন, ৩৩ বছর আগে চারজন পুরুষ এক অজ্ঞাত নারীর নির্মম হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। বিচার হলেও পরিবারটি ৩৩ বছর ধরে তাদের প্রিয়জন সম্পর্কে কোনো খোঁজ পায়নি।
তদন্তে জানা গেছে, ১৯৯১ সালের ১৫ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে ওই চারজন পুরুষ (তাদের বয়স ছিল ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে) রদ্রিগেজকে গাড়িতে করে কুইন্সের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে ক্রস আইল্যান্ড পার্কওয়ে এবং বেল্ট পার্কওয়ের মিলিত এলাকায় নিয়ে যায়। গাড়িতে যাওয়ার সময় দুইজন তার পা দড়ি দিয়ে বেঁধে দেয়। সেখানে পৌঁছে একজন তাকে একটি ধাতব ফ্ল্যাশলাইট দিয়ে আঘাত করলে তিনি মারা যান।
২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে কুইন্স ডিএ’র কোল্ড কেস ইউনিট এবং এনওয়াইপিডি অজ্ঞাত ভুক্তভোগীর পরিচয় উদঘাটনে একটি বেসরকারি ল্যাবের সাহায্য চায়। এপ্রিলে অ্যাডভান্সড ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে কঙ্কালের নমুনা থেকে একটি বৃহৎ জেনেটিক প্রোফাইল তৈরি করা হয়। জেনেটিক প্রোফাইল জনসাধারণের ডেটাবেসে আপলোড করা হলে এনওয়াইপিডির গোয়েন্দা জোসেফ রদ্রিগেজ একটি পারিবারিক বংশলতিকা তৈরি করেন। এরপর তদন্তকারীরা সম্ভাব্য পরিবার সদস্যদের শনাক্ত করেন এবং ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেন।
অ্যাটর্নি মেলিন্ডা ক্যাটজ বলেন, ৩৩ বছর পর নিশ্চিত হওয়া যায় যে দেহটি ছিল ৩০ বছর বয়সী জুডি রদ্রিগেজের। তিনি তার মেয়ে স্টেফানি রদ্রিগেজের প্রথম জন্মদিনের দিন নিখোঁজ হয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, কুইন্স ডিএ’র কোল্ড কেস ইউনিটে এখনও ৪৭ জন ভুক্তভোগী আছেন যাদের পরিচয় উদঘাটন করা হয়নি। ২০২৩ সালে মার্কিন প্রতিনিধি গ্রেস মেং এই ইউনিটের জন্য আধুনিক ডিএনএ পরীক্ষার উদ্দেশ্যে ৫ লাখ ডলারের অনুদান নিশ্চিত করেন।
কেই/এসবি