অত্যাধুনিক ১০০ তুর্কি যুদ্ধবিমান কিনবে সৌদি আরব
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:১১
তুরস্কের তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান টিএফ কান কেনার পরিকল্পনা করছে সৌদি আরব। রাজকীয় সৌদি বিমানবাহিনীর কমান্ডার প্রিন্স তুর্কি বিন বান্দার আল সৌদ সম্প্রতি তুরস্ক সফর করেছেন। যেখানে কান যুদ্ধবিমান কেনার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই চুক্তি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের এই অঞ্চলে বাড়তে থাকা প্রভাবের আরেকটি প্রমাণ হবে।
রিয়াদ কেন এই বিশেষ যুদ্ধবিমানটি বেছে নিতে পারে তার রাজনৈতিক ও প্রযুক্তিগত কারণ রয়েছে। একটি কারণ হতে পারে, এটি যুক্তরাষ্ট্রকে জানান দিতে চায় যে পঞ্চম প্রজন্মের এফ-৩৫ লাইটনিং II এর বিকল্প রয়েছে (সৌদিকে মার্কিন প্রশাসন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার অনুমতি দেয়নি)। আরেকটি কারণ হতে পারে, টিএফ কান ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান আসার আগ পর্যন্ত বা ২০৪০ এর দশক পর্যন্ত টিএফ কান সৌদি বিমানবাহিনীর যুতসই সমাধান হতে পারে।
তুরস্ক কর্তৃক আয়োজিত দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয়ে তিন দিনের আলোচনার পর তুর্কি মিডিয়া জানিয়েছে, সৌদি আরব ২০৩০ এর দশকের জন্য তার সামরিক কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ হিসাবে ১০০ টিএফ কান যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা করছে।
সৌদি ইতিমধ্যে তুরস্কের সাথে ব্যাপক প্রতিরক্ষা সহযোগিতার সাথে যুক্ত হয়েছে। সৌদি আরব ২০২৩ সালের ১৮ জুলাই তুরস্ক থেকে বায়রাক্তার আকিনজি ড্রোন কেনার চুক্তি করে। যাকে তুরস্কের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা এবং বিমান রপ্তানি চুক্তি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছিল। তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করে সৌদি আরব। যা এখন পর্যন্ত তুরস্কের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি। আর ৬ আগস্ট সৌদি মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিজ ঘোষণা দেয়, এসব আকিনজি ড্রোনের ৭০ শতাংশ অভ্যন্তরীণভাবে তৈরি করা হবে।
সৌদি আরব ১০০ টিএফ কান যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি করলে তুরস্ক তার উচ্চাভিলাষী যুদ্ধবিমান তৈরির প্রকল্পে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ পাবে। এছাড়াও, যুদ্ধবিমান রপ্তানির এত বড় চুক্তি বিমানপ্রতি দাম কমিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে। যা তুরস্ককে অন্য দেশের সাথে চুক্তিতে এগিয়ে রাখতে সাহায্য করবে।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে কান তার প্রথম ফ্লাইট সফলভাবে সম্পন্ন করে। এ বিষয়ে তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প অধিদপ্তরের প্রধান হালুক গরগুন বলেন, ‘কান কেবল পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান না, এর সাথে এমন কিছু প্রযুক্তি থাকবে যা বিশ্বের খুব কম দেশেই আছে।’
দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট স্টিলথ জেটের প্রাথমিক ইঞ্জিন মার্কিন জেনারেল ইলেকট্রিক এফ-১১০ এর, যা এফ-১৬ এর মতো চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত হয়। তুরস্ক এগুলোকে দেশীয় ইঞ্জিন দিয়ে প্রতিস্থাপন করছে।
ওএফ