সিরিয়ার অর্ধেকেরও বেশি শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত : সেভ দ্য চিলড্রেন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:২৯
ছবি : সংগৃহীত
যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ার অর্ধেকেরও বেশি স্কুলগামী শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া প্রায় ৬৪ লক্ষ শিশুর জরুরি মানসিক সাহায্যের প্রয়োজন। ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’- এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। দাতব্য সংস্থাটি অবিলম্বে শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংস্থাটি বলেছে, সিরিয়ান শিশুদের মধ্যে অন্তত অর্ধেকের ১৪ বছরের গৃহযুদ্ধের আঘাত কাটিয়ে উঠতে মানসিক সাহায্যের প্রয়োজন। এছাড়া সিংহভাগেরও বেশি শিশুদের খাদ্যসহ মানবিক সহায়তাও জরুরি।
সেভ দ্য চিলড্রেন- এর সিরিয়া বিষয়ক পরিচালক রাশা মুহরেজ রাজধানী দামেস্ক থেকে এক সাক্ষাৎকারে এএফপিকে বলেছেন, ‘প্রায় ৩৭ লক্ষ শিশু স্কুলের বাইরে এবং তাদের পুনরায় একত্রিত করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।’
রাশা মুহরেজ আরও বলেছেন, ‘৩৭ লক্ষ শিশুর অর্ধেকেরও বেশি স্কুল বয়সী হলেও তারা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত।’
তিনি বলেন, সিরিয়ার জনগণ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সংঘাতময় পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে। কিন্তু বিদ্রোহীদের ঝটিকা আক্রমণের মুখে গত ৮ ডিসেম্বর স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন। প্রেসিডেন্ট আসাদের পতনের মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় আসাদ যুগের অবসান ঘটে। জাতিসংঘের হিসেব মতে, এই সময় নতুন করে ৭ লক্ষ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
মুহরেজ জানান, ‘বাস্তুচ্যুতরা আবার দেশে ফিরতে শুরু করায় কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিণত হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে।’
সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর আসাদ সরকারের নৃশংস দমন-পীড়নের পর ২০১১ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধ সিরিয়ার অর্থনীতি এবং সরকারি অবকাঠামো ধ্বংস হওয়ায় অনেক শিশুই অরক্ষিত রয়ে গেছে।
মুহরেজ বলেছেন, ‘প্রায় ৭৫ লক্ষ শিশুর অবিলম্বে মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।’
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, শিশুরা যাতে শিক্ষায় ফিরে আসতে পারে। তাদের স্বাস্থ্য, খাবারের সুব্যবস্থা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, আর্থিক সংকট এবং সর্বোপরি গৃহযুদ্ধের কারণে ‘শিশুরা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, সুরক্ষা, আশ্রয়সহ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছিল।’
বিশ্বব্যাংকের হিসেব মতে, চারজনের মধ্যে একজনেরও বেশি সিরিয়ান নাগরিক এখন চরম দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করছে।এসবি