Logo
Logo

আন্তর্জাতিক

দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউনকে গ্রেপ্তারে বাসভবনে পুলিশ

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৫

দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউনকে গ্রেপ্তারে বাসভবনে পুলিশ

ছবি : সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে গ্রেপ্তার করতে তার বাসভবনে পৌঁছে গেছেন দেশটির তদন্তকারীরা। সঙ্গে প্রচুর পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তা। কিন্তু তাদের প্রবল বাঁধার মুখে পড়তে হয়েছে। ইউনের পক্ষে বাইরে জড়ো হওয়া জনতাকে পাশ কাটিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন তারা। 

গ্রেপ্তার করা হলে তিনিই হবেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট, যাকে এভাবে গ্রেপ্তার করা হলো। 

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা ও রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথমে তাদেরকে (পুলিশ) প্রেসিডেন্টের বাসভবন চত্বরের মধ্যে নিযুক্ত সেনা ইউনিট বাধা দেয়। সেই বাঁধা পার হওয়ার পর তারা প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তারক্ষীদের বাঁধার মুখে পড়েন। 

তদন্তকারীদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে ইওলের আইনজীবী ইউন কাপ-কেউন বলেছেন, আইন মেনে এই কাজ হচ্ছে না। তারা আবার আদালতের দ্বারস্থ হবেন। 

আইনজীবী বলেন, 'গ্রেপ্তারি পরোয়ানা যেভাবে কার্যকর করতে চাওয়া হয়েছে তা বেআইনি। এর বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।' 

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সিওলের আদালত এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। বারবার বলা সত্ত্বেও ইওল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্তকারীদের মুখোমুখি হচ্ছিলেন না বা তার অফিসে তল্লাশিও চালাতে দিচ্ছিলেন না। তারপর এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। 

গত ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় স্বল্পকালের জন্য সামরিক আইন জারি করেছিলেন ইওন। হঠাৎ করা এই ঘোষনা বিদ্রোহ কি না তা তদন্ত করে দেখছে তদন্তকারী দল। 

অভিযুক্ত প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তিনি শেষপর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন। 

এদিকে তার সমর্থকরা বৃহস্পতিবার তার বাসভবনের সামনে চলে আসেন। তারা সারারাত সেখানে অবস্থান করে তারা স্লোগান দেন, 'গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অবৈধ'। 

প্রেসিডেন্ট তার সমর্থকদের বলেন, 'আমি শেষপর্যন্ত লড়াই করে যাব। এই দেশকে বাঁচানোর জন্য আমি আপনাদের সঙ্গে আছি।'

প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তারক্ষীরা আগের মতোই তাকে সুরক্ষা দিচ্ছে। এর আগেও পুলিশের তার বাড়িতে তল্লাশি করতে চেয়েছিল। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীদের বাঁধায় তা সম্ভব হয়নি। 

রয়টার্স বলছে, উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্তের দায়িত্বে থাকা দ্য করাপশন ইনভেস্টিগেশন অফিস ফর দ্য হাই-র্যাঙ্কিং অফিশিয়ালস (সিআইও) কর্মকর্তারা ইউনকে গ্রেপ্তারে তদন্তকারীদের একটি যৌথ দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই দলের মধ্যে পুলিশ এবং প্রসিকিউটররাও রয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৭টার কিছুক্ষণ পরেই ইউনের কম্পাউন্ডের গেটে পৌঁছান তারা। 

এর আগে দেশটির বার্তাসংস্থা ইয়োনহাপ সিআইওকে উদ্ধৃত করে বলেছিল, বর্তমান এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এবং এটি প্রয়োগ করা হলে ইউনকে সিউল ডিটেনশন সেন্টারে আটক রাখা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট ইউন অভিশংসিত হওয়ায় তার স্থানে এখন একজন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন। অবশ্য সংসদে অভিশংসিত হলেও জটিল আইনি প্রক্রিয়ার কারণে প্রেসিডেন্ট পদে থাকবেন ইউন। তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে কোনও নির্বাহী ক্ষমতা থাকবে না তার। 

এসবি

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর