যুদ্ধ ও সামরিক আইন শেষ হলে ২০২৫ সালে ইউক্রেনে নির্বাচন সম্ভব : জেলেনস্কি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৬
ছবি : সংগৃহীত
রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ এবং সামরিক আইন শেষ হলে ২০২৫ সালে ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট এবং সংসদীয় নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান সংঘাত নিরসনের পর এসব নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে কিয়েভের অবস্থান নির্ধারিত হবে। একবার সামরিক আইন প্রত্যাহার করা হলে, নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের জন্য সংসদ দায়বদ্ধ থাকবে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম খামা প্রেস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ২০ মে জেলেনস্কির পাঁচ বছরের প্রেসিডেন্ট মেয়াদ শেষ হলেও রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ ও দেশটিতে সামরিক আইন জারির কারণে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। ২ জানুয়ারি ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের সাথে এক কথোপকথনে জেলেনস্কি স্বীকার করেছেন যে, তিনি তার পুনর্নির্বাচনের সম্ভাবনা সম্পর্কে অনিশ্চিত।
তিনি বলেন, 'আমি যদি আজ ইউক্রেনের জন্য আরও কঠোর পরিশ্রম করি তবে আমি আসন্ন নির্বাচনের জন্য আরও আশাবাদী হতে পারি। কিন্তু আজ এটাই আমার লক্ষ্য নয়।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট তার দেশ ও রাশিয়ার মধ্যে নির্বাচন নিয়ে পরস্পরবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েও আলোচনা করেছেন। জেলেনস্কি উল্লেখ করেছেন যে, ইউক্রেনীয়রা যুদ্ধকালীন সময়ে নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত থাকলেও, রাশিয়ার জনগণ নির্বাচন চাচ্ছে। তবে রাশিয়ার জনগণ নির্বাচনের জন্য দৃঢ়ভাবে চাপ দিচ্ছে।
তিনি বলেন, এর ফলে রাশিয়া ইউক্রেনের নেতৃত্বকে দুর্বল করার জন্য একটি প্রচারণা চালাচ্ছে, যাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে অবৈধ হিসাবে চিহ্নিত করা যায়।
যেহেতু ইউক্রেন রাশিয়ার সাথে চলমান সংঘাতে লিপ্ত, তাই গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজন একটি সংবেদনশীল বিষয় হয়ে উঠেছে। জেলেনস্কির মন্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে, নির্বাচনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত থাকলেও যুদ্ধের সমাধান এবং সামরিক আইন প্রত্যাহারের মাধ্যমে ইউক্রেনের রাজনৈতিক দৃশ্যপট সামঞ্জস্যপূর্ণ আকার নিতে পারে। বহিরাগত আগ্রাসনের মুখে ইউক্রেন কীভাবে তার অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়া পরিচালনা করে তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।
এসবি