Logo
Logo

আন্তর্জাতিক

গাজায় ত্রাণ তৎপরতা ভয়াবহ সংকটে, জাতিসংঘের হুঁশিয়ারি

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:৩৭

গাজায় ত্রাণ তৎপরতা ভয়াবহ সংকটে, জাতিসংঘের হুঁশিয়ারি

ছবি : সংগৃহীত

গাজায় মানবিক সাহায্য বা ত্রাণ সরবরাহে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর প্রচেষ্টা ভয়াবহ সংকটের মুখে পৌঁছেছে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। 

সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাতে এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংস্থার (ওসিএইচএ) প্রধান বলেছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার মধ্যে ত্রাণকর্মীদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী হামলা অব্যাহত রাখায় সেখানে ত্রাণ তৎপরতা বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছে। তিনি সশস্ত্র ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর হুমকির কথাও উল্লেখ করেন।

মানবিক বিষয়ক সহকারী মহাসচিব এবং জরুরি ত্রাণ সমন্বয়ক টম ফ্লেচার বলেন, 'বাস্তবতা হচ্ছে হামলায় বেঁচে যাওয়াদের কাছে খাবার, পানি ও ওষুধ সরবরাহের দৃঢ় সংকল্প সত্ত্বেও জীবন রক্ষায় আমাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর্যায়ে রয়েছে।’ 

তিনি বলেন, ইসরায়েলি বিমান হামলায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) একটি খাদ্য বিতরণ পয়েন্টের অংশীদারদের মধ্যে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। 

তিনি আরও জানান, রোববার দক্ষিণ থেকে উত্তরে চেক পয়েন্টে জাতিসংঘের গাড়িবহর লক্ষ্য করে ১৬ রাউন্ডেরও বেশি গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা। 

সশস্ত্র ফিলিস্তিনি গ্যাংগুলোও অভিযানে বাঁধা দিচ্ছে উল্লেখ করে ফ্লেচার বলেন, তারা ইসরায়েলিদের জন্য কেরেম শালোম নামে পরিচিত কারেম আবু সালেম ক্রসিং থেকে ছয়টি জ্বালানি ট্যাংকার ছিনতাই করে।

তিনি আরও বলেন, এখানে অর্থবহ কোনো নাগরিক শৃঙ্খলা নেই। ইসরায়েলি বাহিনী আমাদের কনভয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অক্ষম বা অনিচ্ছুক। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের বিবৃতি আমাদের ত্রাণকর্মীদের নিন্দা করে, এমনকি সামরিক বাহিনী তাদের আক্রমণ করে। আমাদের কনভয়ের সাথে থাকা কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবকদের টার্গেট করা হচ্ছে।

ফ্লেচার বলেন, ‘এখন এমন একটি ধারণা তৈরি হয়েছে যে, ত্রাণবাহী গাড়িবহর রক্ষা করা বিপজ্জনক কিন্তু সেগুলো লুট করা নিরাপদ।’

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যায় অন্তত ৪৫ হাজার ৮৫৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ১ লাখ ৯ হাজার ১৩৯ জন আহত হয়েছেন। 

হাইপোথার্মিয়া এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য তাঁবু, কম্বল, তোশক এবং অন্যান্য সরবরাহসহ মানবিক সহায়তা প্রবেশে ইসরায়েলের নিষেধাজ্ঞার কারণে সোমবার গাজায় আরেকটি শিশু ঠান্ডায় জমে মারা যাওয়ার পরে ওসিএইচএ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। 

এক বিবৃতিতে বলেছে সংস্থাটি জানায়, ‘এসব মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য হতো যদি এসব শিশুদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীগুলো তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে যেত।’

জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর হিসাব অনুযায়ী, গাজার প্রায় ১৬ লাখ মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে বাস করছে, যা শীতের ঠান্ডা থেকে তাদের সুরক্ষা দিতে অক্ষম।

গাজার কর্তৃপক্ষ বলছে, উপত্যকায় আশ্রয় হিসেবে ব্যবহৃত ১ লাখ ৩৫ হাজার তাঁবুর মধ্যে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার তাঁবু জীর্ণ হয়ে গেছে। যা ব্যবহারের উপযোগী নয়। 

ফ্লেচার জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে সব বেসামরিক নাগরিক ও সব ধরনের মানবিক অভিযানের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, এটা বলে করানোর প্রয়োজন ছিল না।

এসবি

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর