ছবি : সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সোমবার ভোর থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৬১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২৮১ জন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪৬ হাজার ৬০০ জন অতিক্রম করেছে। এছাড়া ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী অভিযান শুরুর পর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন মোট ৪৬ হাজার ৬৪৫ জন এবং আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার ১২ জন।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও করা হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার কাতারে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ ও জিম্মি মুক্তির বিষয়ে এক যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছে কাতার ও অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী দেশ। যুদ্ধবিরতি চুক্তির পথে তারা অনেকটাই অগ্রসর হয়েছে বলে জানিয়েছে কাতার।
এসবি