Logo

আন্তর্জাতিক

গাজা যুদ্ধের অবসান

যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হামাস-ইসরায়েল

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:২৯

যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হামাস-ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের গাজার চলমান হামলা বন্ধে অবশেষে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হয়েছে দখলদার ইসরায়েল ও গাজার শাসক গোষ্ঠী হামাস। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) উভয় দেশই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।

আল জাজিরা আরবিকে হামাস বলেছে, তাদের প্রতিনিধিদল মধ্যস্থতাকারীদের কাছে যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে। ইসরায়েল এখনো এই প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া ঘোষণা করেনি।

এর ফলে, ১৫ ধরে চলা এক অসম যুদ্ধের শেষ দেখতে যাচ্ছে বিশ্ববাসী। এই যুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে হাজার হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে, যার অধিকাংশ নারী ও শিশু।

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজায় জিম্মিদের জন্য আমাদের একটি চুক্তি হয়েছে। শীঘ্রই বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে।

চুক্তিটি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ছয় সপ্তাহের প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি পর্বের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। চুক্তির ফলে গাজা উপত্যকা থেকে ধীরে ধীরে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার করা হবে। আর ইসরায়েলের হাতে বন্দী ফিলিস্তিনিদের বিনিময়ে হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে।

প্রথম ধাপে ৫০ বছরের বেশি বয়সী নারী ও পুরুষসহ ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

প্রথম ধাপ বাস্তবায়নের ১৬তম দিনে দ্বিতীয় ধাপ বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা শুরু হবে। এ সময় বাকি জিম্মিদের মুক্তি, একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার অন্তর্ভুক্ত হবে।

আর তৃতীয় ধাপে মিশর, কাতার ও জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে গাজার পুনর্গঠন শুরু হবে। অন্যান্য বাকি সব মরদেহ ফিরিয়ে আনার কথা বলা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

চুক্তিটি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় কয়েক মাসের টানা আলোচনার পরে সম্পন্ন হচ্ছে।

গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস রয়টার্সকে জানিয়েছে, তাদের প্রতিনিধিদল মধ্যস্থতাকারীদের যুদ্ধবিরতি চুক্তি ও জিম্মিদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে।

চুক্তিটি যদি সফল হয় তবে এই যুদ্ধ থামাতে পারে। যুদ্ধে গাজার বেশিরভাগ অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে। অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধ শুরু আগে বসবাসকারী বেশিরভাগ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে গেছেন। আরও অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। যার সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।

যুদ্ধ বিরতির চুক্তি বাস্তবায়ন হলে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে চলমান ব্যাপক উত্তেজনা কমতে পারে। এই ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীর, লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন ও ইরাকে সংঘাত সৃষ্টি করেছে। আঞ্চলিক শত্রু ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বর্তমান চুক্তিটি বাস্তবায়িত হলেও একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও সব জিম্মি মুক্তির আগে এটির জন্য আরও আলোচনার প্রয়োজন হবে।

গাজা চুক্তির প্রথম পর্যায় যা রয়েছেগাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে আল জাজিরা আরবি অসমর্থিত সূত্রে জানায়->> ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজার অভ্যন্তরে ৭০০ মিটার (২২৯৭ ফুট) এলাকা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করবে।>>  ইসরায়েল প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। যার মধ্যে ২৫০ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত।>> ফিলিস্তিন ৩৩ ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেবে।>>  ইসরায়েল গাজায় আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য বাইরের দেশে ভ্রমণের অনুমতি দেবে। প্রথম পর্যায় শুরুর সাত দিন পর মিশরের সঙ্গে রাফাহ ক্রসিং খুলে দেবে ইসরাইল।>>  ফিলাডেলফি করিডোর নামে পরিচিত মিশরের সাথে গাজার সীমান্ত থেকে ইসরায়েলি বাহিনী পরবর্তী পর্যায়ে পুরোপুরি সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করবে।

ওএফ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর