বাংলাদেশ ও চীনকে নিয়ে শঙ্কা
চিকেন নেক করিডর নির্মাণ করবে ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:০৪
-678d068be713a.jpg)
এটিকে শিলিগুড়ি করিডরও বলা হয়
একদিকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও প্রবল ভারত বিরোধিতা এবং অন্যদিকে ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে চীন। এমন প্রেক্ষাপটে সব দ্বন্দ্ব ও টানাপোড়েন মিটিয়ে চিকেন’স নেক করিডর (যাকে শিলিগুড়ি করিডরও বলা হয়) প্রকল্পে সম্মতি জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।
রোববার হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের একেবারে শীর্ষস্তর থেকে এই সম্মতি দেওয়া হয়েছে। সরকার এটিকে ভারতের বর্তমান প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছে।
উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে ভারতের বাকি অংশের সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে এই চিকেন নেক করিডর।
চিকেন নেক করিডর প্রকল্পের অধীনে এক বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে চায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এই কাজের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যের পারস্পরিক সহযোগিতা ও বোঝাপড়া দরকার। এত দিন সেখানে একটি বিষয় নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সমস্যা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও চীনের মনোভাব বুঝেই অপেক্ষা করেনি রাজ্য সরকার। তারা এই প্রকল্পে সম্মতি জানিয়ে দিয়েছে।
এই প্রকল্পের অধীনে সীমান্ত এলাকার ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে এমন যোগাযোগব্যবস্থা ও অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে, যাতে আগামী দিনে সহজেই ভারত-চীন সীমান্তে সিকিমের নাথুলায় যাওয়া যাবে।
এই প্রকল্পের অধীনে তিস্তা নদীর ওপর করোনেশন ব্রিজের বিকল্প আরও একটি নতুন সেতু তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়াও পার্বত্য বনাঞ্চলের ভেতর দিয়ে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি উড়ালপথ (এলিভেটেড করিডর) তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি এই উড়ালপথের সমান্তরালে সেবকের সেনা ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত রাস্তাটি আরও চওড়া করা হবে। সেই সড়কের সঙ্গে যুক্ত থাকবে ১০ ও ১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক। ফলে ভারতের বাকি অংশ থেকে নাথুলায় পৌঁছনো অনেক বেশি সহজ হবে।
বিএইচ/ওএফ