রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ না করলে আরও নিষেধাজ্ঞা : ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:৩৩
ছবি : সংগৃহীত
রাশিয়া ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধ বন্ধ না করলে তাদের ওপর বাড়তি করসহ আরও অনেক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে করা এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, ভ্লাদিমির পুতিনকে এই যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে, না হলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা ডয়চে ভেলে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প বলেছেন, ‘এখনই মীমাংসা করুন, এই হাস্যকর যুদ্ধ থামান। না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’
বুধবার (২২ জানুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথমবার পুতিনকে নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন, ‘আপনি যদি চুক্তি না করেন, তাহলে রাশিয়া ও যুদ্ধে অংশ নেওয়া অন্য দেশের বিরুদ্ধে চড়া হারে কর, শুল্ক বসানো ও আরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা ছাড়া আমার সামনে কোনো বিকল্প থাকবে না।’
ট্রাম্প বলেন, '‘আমি প্রেসিডেন্ট থাকলে এই যুদ্ধ শুরুই হতো না। এখন এটা বন্ধ করুন। আমরা সহজ বা কঠিন রাস্তায় হাঁটতে পারি। সহজ রাস্তা সবসময়ই ভালো। তাই চুক্তি করার পক্ষে এটাই সেরা সময়। আর কোনো জীবন যেন নষ্ট না হয়।’
এর আগে নির্বাচনী প্রচারের সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলে যুদ্ধ বন্ধ করে দেবেন। কিন্তু কীভাবে যুদ্ধ বন্ধ হবে তা তিনি বলেননি।
এখন আরও নিষেধাজ্ঞা বলতে ট্রাম্প কী বোঝাচ্ছেন, সেটাও স্পষ্ট নয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো ইতোমধ্যেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
তবে ইউক্রেনের বিষয়ে কিছু বলেননি ট্রাম্প।
এদিকে জাতিসংঘে রাশিয়ার সহকারী রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি পলিয়ানস্কি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের সঙ্গে কোনোরকম আলোচনা ছাড়াই যুদ্ধ শেষ করার চুক্তি বলতে ডোনাল্ড ট্রাম্প কী বোঝাচ্ছেন, সেটা জানা দরকার।’
তিনি জানান, ‘আমাদের জানা দরকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে চুক্তির অর্থ কী? এটা তো শুধু যুদ্ধ বন্ধের প্রশ্ন নয়। প্রথম ও সবচেয়ে জরুরি প্রশ্নটা হলো, যে কারণে ইউক্রেন সংকট শুরু হয়েছিল সেটা।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাশিয়াবিরোধী মনোভাব নেওয়ার জন্য ট্রাম্প দায়ী নন। তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ-প্রস্তুতি নেননি। কিন্তু এখন ওই নীতি বদলের ক্ষমতা তার হাতে রয়েছে।’
এসবি