Logo

আন্তর্জাতিক

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধস, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:০৭

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধস, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১

ছবি : সংগৃহীত

ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। 

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উদ্ধারকারীরা খারাপ আবহাওয়া এবং প্রবল স্রোতের বিরুদ্ধে লড়াই করে জীবিতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। 

এর আগে সোমবার মধ্য জাভা প্রদেশের পেকালোঙ্গান শহরের কাছে একটি পাহাড়ি এলাকায় প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে ভূমিধস হয়। ফলে সেতু ভেঙে পড়ে এবং গাড়ি ও ঘরবাড়ি চাপা পড়ে যায়। 

নিকটবর্তী শহর সেমারাংয়ের অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার প্রধান বুদিওনো এএফপিকে বলেছেন, ‘আজ সকালে আমরা ২১ জন নিহত ব্যক্তিকে খুঁজে পেয়েছি এবং আরও পাঁচজনের সন্ধানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কাসিম্পার গ্রামে স্থানীয় কর্মকর্তার বাড়ির ধ্বংসাবশেষ এবং একটি ক্যাফেতে অনুসন্ধানের জন্য ভারী যন্ত্রপাতি মোতায়েন করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আরও হতাহতরা বৃষ্টি থেকে বাঁচতে আশ্রয় নেওয়ার সময় চাপা পড়ে থাকতে পারে। 

বুদিওনো বলেন, ‘আমরা ওই দুটি স্থান এবং কাছাকাছি নদীর দিকে মনোযোগ দিচ্ছি।’

স্রোতের কারণে হতাহতদের নদীতে ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। 

অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থা বাসার্নাসের মতে, ভূমিধসে কমপক্ষে ১৩ জন আহত হয়েছেন। 

বুদিওনো বলেন, ‘উদ্ধারকারীরা রাস্তা থেকে ঘন কাদা এবং ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে শুরু করেছেন।’ 

প্রসঙ্গত, ইন্দোনেশিয়ায় বর্ষাকালে সাধারণত নভেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে ভূমিধসের প্রবণতা বেশি থাকে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সৃষ্ট কিছু দুর্যোগ মৌসুমের পরেও ঘটছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঝড়ের তীব্রতাও বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে ভারী বৃষ্টিপাত, আকস্মিক বন্যা এবং শক্তিশালী ঝড়ো হাওয়া দেখা দিয়েছে। 

এর আগে গত মে মাসে, পশ্চিম সুমাত্রায় ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যার ফলে কমপক্ষে ৬৭ জন মারা যায়। 

এসবি

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর