Logo

আন্তর্জাতিক

কেনেডি হত্যাকাণ্ডের ২৪০০ নতুন নথির খোঁজ

Icon

নিউইয়র্ক প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫:৪০

কেনেডি হত্যাকাণ্ডের ২৪০০ নতুন নথির খোঁজ

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ১৯৬৩ সালের হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত নতুন ২,৪০০টি নথি খুঁজে পেয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ অনুসারে এই নথিগুলো খুঁজে বের করা হয়েছে। ট্রাম্প কেনেডির মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত নথিগুলো প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এফবিআই নথিগুলোর বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। তবে জাতীয় আর্কাইভে ইতোমধ্যে কেনেডি হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত ৫০ লাখের বেশি পৃষ্ঠার নথি সংরক্ষিত রয়েছে, যার অনেকাংশই জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নথিগুলো প্রকাশের উদ্যোগের ফলে বিদ্যমান রেকর্ডগুলোর একটি উন্নত সূচি তৈরি হয়েছে, যা নতুন নথি আবিষ্কারে সহায়তা করেছে। ২০২০ সালে এফবিআই সেন্ট্রাল রেকর্ডস কমপ্লেক্স চালু করে, যেখানে দেশজুড়ে বিভিন্ন ফিল্ড অফিস থেকে সংগৃহীত তথ্য সংরক্ষণ, পরিবহন ও তালিকাভুক্ত করার প্রক্রিয়া ইলেকট্রনিকভাবে সম্পন্ন হয়।

লী হার্ভে অসওয়াল্ডকে কেনেডি হত্যার একমাত্র হামলাকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তবে এ ঘটনার পর থেকে বহু ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়ে পড়ে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের প্রতিবেদন অনুসারে, হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ আগে ২৪ বছর বয়সী অসওয়াল্ড মেক্সিকো সিটিতে সোভিয়েত ও কিউবান দূতাবাস পরিদর্শন করেছিলেন।

সিআইএ জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডে কোনো বিদেশি সম্পৃক্ততা ছিল না। যদিও অনেকে গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এক বিশেষজ্ঞের মন্তব্য, ‘আমি মনে করি, এই পর্যায়ে এটি কোনো যুক্তিযুক্ত সন্দেহের ঊর্ধ্বে।’

রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র বলেছেন যে তার চাচা যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীকে ভিয়েতনামে পাঠাতে অস্বীকার করায় তাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।

২০২৩ সালে নিউ ইয়র্ক সিটির রেডিও স্টেশন ডাব্লিউএবিসি ৭৭০-তে জন ক্যাটসিমাটিডিসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেনেডি বলেন, ‘যখন আমার চাচা প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন তিনি সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্স এবং গোয়েন্দা সংস্থার দ্বারা পরিবেষ্টিত ছিলেন। তারা তাকে লাওস, ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধে জড়ানোর জন্য চাপ দিচ্ছিল।’

তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কেনেডি হত্যার সরকারি নথি প্রকাশের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এটি একটি চমৎকার পদক্ষেপ, কারণ আমাদের সরকারের আরও স্বচ্ছ হওয়া দরকার এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছেন যাতে সরকার আমেরিকান জনগণকে সবকিছুর সত্যতা জানাতে পারে।’

কেআই/এমএইচএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর