ফেডারেল কর্মী সংখ্যা কমানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাবিত 'বাইআউট অফার' গ্রহণ করেছেন প্রায় ৭৫,০০০ ফেডারেল কর্মী। একজন সিনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা আদালতের রায় ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। একই সঙ্গে শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর এই প্রোগ্রাম বাতিলের চেষ্টাকে আদালত প্রত্যাখ্যান করেছে। আদালতের এই সিদ্ধান্ত সরকারের 'ফর্ক ইন দ্য রোড' কর্মসূচিটি আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করার অনুমতি দিয়েছে।

এই বাইআউট অফারের আওতায় সরকারি কর্মচারীদের আট মাসের বেতন ও সুবিধা প্রদান করা হয়েছে, যদি তারা ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মক্ষেত্রে প্রত্যাবর্তন ম্যান্ডেটের অংশ হতে না চান এবং স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে রাজি হন। এই সংখ্যা দেশের ২০ লাখ ফেডারেল কর্মীর মাত্র ৩.৭৫ শতাংশ, যা হোয়াইট হাউসের প্রত্যাশিত ৫ থেকে ১০ শতাংশের তুলনায় কম।

কর্মী ব্যবস্থাপনা অফিস (ওপিএম) জানিয়েছে, আদালত 'বিলম্বিত পদত্যাগ কর্মসূচি' বাতিলের প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করায় তারা সন্তুষ্ট। এই কর্মসূচিটি সতর্কতার সঙ্গে পরিকল্পিত ও পর্যালোচিত হয়েছে এবং এটি ফেডারেল কর্মীদের ভবিষ্যতের জন্য উদার সুবিধা প্রদান করে। তবে শ্রমিক ইউনিয়নগুলো কর্মীদের এই ব্যতিক্রমী অফার গ্রহণের ব্যাপারে সতর্ক করেছে।

এই প্রোগ্রামের সঙ্গে সংযুক্ত কয়েকটি শর্ত কর্মী ব্যবস্থাপনা অফিসের দেওয়া প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক, যা কর্মচারীরা কাজে যোগ দিতে বাধ্য হবেন কি না বা বাইরের চাকরির সুযোগ পাবেন কি না তা অনিশ্চিত করে তুলেছে।

উল্লেখ্য, ইলন মাস্কের সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থা ফেডারেল কর্মীদের ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছে এবং যাদের পুরোপুরি বাদ দেওয়া যাবে, তাদের শনাক্ত করতে আদেশ জারি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার ওভাল অফিসে এক নির্বাহী আদেশে সই করেন ট্রাম্প।

নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, মাস্কের সঙ্গে কাজ করতে বিভিন্ন সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন তারা বৃহৎ আকারে কর্মী কমানোর পরিকল্পনা করে এবং কোনো কর্মীকে ছাঁটাইয়ের পর প্রতি চার কর্মীর জন্য একটি নতুন নিয়োগ করতে না পারে। বিভিন্ন সংস্থা ও আদালত এই পদক্ষেপের জন্য মাস্ক ও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। ওভাল অফিসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পাশে দাঁড়িয়ে মাস্ক সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন এবং জানান, তিনি ট্রাম্পের নির্দেশে সরকারের অপচয় কমানোর কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।