‘মাস্কের পায়ে ট্রাম্পের চুম্বনের’ ভিডিও নিয়ে তোলপাড়

নিউইয়র্ক প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৩২
-67bcc95cee397.jpg)
ইলন মাস্কের পায়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্পের চুম্বন করা ভিডিও নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়েছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) হাউজিং অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট (এইচইউডি) ভবনের টেলিভিশন স্ক্রিনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দ্বারা তৈরি করা একটি ভিডিও প্রচারিত হয়। এ ভিডিওটি স্পষ্টতই তাদের সম্পর্ককে ‘ব্যঙ্গ’ করে তৈরি করা হয়েছে।
কম্পিউটার-উৎপন্ন ভিডিওটির উপরে লেখা ছিল ‘লং লিভ দ্য রিয়েল কিং’ (বেঁচে থাকুন প্রকৃত রাজা), যা ট্রাম্পের ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টের প্রতি ইঙ্গিত করে। সেখানে তিনি লিখেছিলেন ‘লং লিভ দ্য কিং’। এই ভিডিও চলাকালীন এইচইউডি ভবনের স্ক্রিনগুলোর ছবি সংগ্রহ করেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা।
ঘটনাটি এমন সময়ে ঘটেছে যখন ট্রাম্প প্রশাসন এইচইউডি-এ প্রায় ৪,০০০ ফেডারেল কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রস্তাব করেছে। যা সংস্থার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমকে প্রভাবিত করতে পারে।
এইচইউডি-এর মুখপাত্র কেসি লাভেট এক বিবৃতিতে দ্য হিলকে জানান, ‘ট্যাক্সপেয়ারদের অর্থ ও সম্পদের আরেকটি অপচয়। এতে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
টেসলার সিইও ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্স-এর মালিক ইলন মাস্ক এখন ট্রাম্পের অন্যতম শক্তিশালী মিত্র হয়ে উঠেছেন এবং তিনি বিভিন্ন ফেডারেল সংস্থার ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছেন। এর মধ্যে হাজার হাজার সরকারি কর্মচারী ছাঁটাইয়ের ঘটনাও রয়েছে। তিনি ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) পরিচালনার জন্য নিযুক্ত হন যা প্রশাসনকে ব্যয় ও কর্মীসংখ্যা হ্রাসের বিষয়ে পরামর্শ দেয়।
মাস্ক সম্প্রতি বিতর্ক সৃষ্টি করেন যখন তিনি এক্স-এ পোস্ট করেন সরকারি কর্মচারীদের একটি গণ-ইমেইলে তাদের আগের সপ্তাহের পাঁচটি সাফল্যের তালিকা দিতে হবে। অন্যথায় সেটি তাদের পদত্যাগ হিসেবে গণ্য হবে। তবে একাধিক সংস্থা তাদের কর্মীদের এই ইমেইলের জবাব না দিতে বলে।
ট্রাম্প ও মাস্কের সম্পর্ক ট্রাম্পের ক্ষমতার সঙ্গে মাস্কের প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকে বিতর্কের বিষয় হয়ে উঠেছে। ডেমোক্র্যাট ও সমালোচকরা ট্রাম্পকে চটানোর কৌশল হিসেবে প্রচার করছেন যে, মূলত মাস্কই পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছেন।
তবে এই মাসের শুরুতে এক যৌথ সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প ও মাস্ক দাবি করেন, মিডিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছে।
কৌশলী ইমা/এমজে