বঙ্গোপসাগরের গভীরে ভূমিকম্প, কাঁপল পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৫

বঙ্গোপসাগরের ৯১ কিলোমিটার গভীরে একটি ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। ভারতের ভূমিকম্প পরিমাপকেন্দ্র জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ১।
আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) অনুসারে, ভারতের প্যারাদ্বীপ থেকে ২২৯ কিলোমিটার পূর্বে বঙ্গোপসাগরের ১০ কিলোমিটার গভীরে এ ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ৫ দশমিক ৩।
এর জেরে কেঁপে উঠেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার উপকূলবর্তী অঞ্চল। কলকাতা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাও কেঁপে ওঠে ভূমিকম্পে। এমনটাই জানা গেল ভূমিকম্প পরিমাপকেন্দ্রের বরাতে।
ভারতের ভূমিকম্প পরিমাপকেন্দ্র বা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা ১০ মিনিটে ভূকম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উৎসস্থল বঙ্গোপসাগরের ৯১ কিলোমিটার গভীরে।
ভূকম্পন পরিমাপকেন্দ্র যে ছবি প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এবং উপকূল সংলগ্ন অঞ্চলে কম্পন অনূভূত হয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া, কাঁথি, দিঘায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। ঢাকা-সহ পশ্চিম প্রান্তের উপকূলের কিছু অঞ্চলে কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে।
ভূমিকম্পে এখনো পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পের পরে সমুদ্রের পরিস্থিতি কী রয়েছে, তা নিয়েও সরকারি স্তরে কোনো তথ্য মেলেনি।
গত সপ্তাহেই দিল্লি ও সংলগ্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়েছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল দিল্লির ধৌলাকুঁয়া। মাটি থেকে পাঁচ কিলোমিটার গভীর ছিল ভূকম্পনের কেন্দ্রস্থল।
ভারত সরকারের ২০২১ সালের তথ্য অনুসারে, কলকাতা অবস্থানগত দিক থেকে ‘সিসমিক জোন ৪’-এর মধ্যে পড়ে। কোন অঞ্চলে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা কতটা রয়েছে, তার উপর নির্ভর করে অঞ্চলগুলোকে ভাগ করা হয়। ভারতে এমন চারটি অঞ্চল রয়েছে।
‘সিসমিক জোন ২’ (কম্পনের সম্ভাবনা সবচেয়ে কম) থেকে শুরু করে ‘সিসমিক জোন ৫’ (কম্পনের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি) পর্যন্ত রয়েছে ভারতে। ‘সিসমিক জোন ৪’-এর অর্থ এই অঞ্চলে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা মৃদু। কম্পনের উৎস এই অঞ্চলে সাধারণত দেখা যায় না। মূলত বঙ্গোপসাগর, উত্তর-পূর্ব ভারত, নেপালের কম্পনের প্রভাব পড়তে দেখা যায় এই অঞ্চলে।
ওএফ