গ্রাফিক্স : বাংলাদেশের খবর
পবিত্র কোরআনে কারিম আরবি ভাষায় অবতীর্ণ হয়েছে। আর আরবির রয়েছে নিজস্ব একটি উচ্চারণ ভঙ্গি। আর ভাষাটির সঙ্গে বাংলা ভাষার বেশ দূরত্ব। এজন্য আরবি ছাড়া বাংলাসহ অন্য যেকোনো ভাষায় কোরআনের সঠিক উচ্চারণ অসম্ভব। তাই কোরআনে কারিমকে অন্য ভাষায় লেখা বা পড়া সব যুগের ও সব দেশের উলামায়ে কেরামের ঐকমত্যে নাজায়েজ।
তাদের মতে- এতে কোরআনের শব্দ ও অর্থ বিকৃত হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য কোনো আলেমের তত্ত্বাবধানে কোরআন শিখে নিতে হবে। (আল ইতক্বান : ৮৩০-৮৩১, ইমদাদুল আহকাম : ১/২৪০, ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া : ১/৪৩)
বাংলা বা যেকোনো অনারবি ভাষায় কোরআনের উচ্চারণ লেখার আরেকটি ক্ষতিকর দিক হলো, এর দ্বারা মানুষ সঠিকভাবে কোরআন না শিখে শুধু উচ্চারণনির্ভর ভুল কোরআন পাঠে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে। অথচ প্রত্যেক নর-নারীর ওপর কোরআন এতটুকু সহিহ বা শুদ্ধ করে পড়া ফরজ, যার দ্বারা অর্থ পরিবর্তন হয় না। কারণ, অর্থ পরিবর্তন হয়- এমন ভুল পড়ার দ্বারা নামাজ নষ্ট হয়ে যায়।
অতএব, অন্ততপক্ষে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য যে সুরাগুলো প্রয়োজন, সেগুলো শুদ্ধভাবে শিখে নেওয়া আবশ্যক, অন্যথায় গুনাহগার হতে হবে। আর পূর্ণ কোরআন শুদ্ধভাবে শেখা সবার ওপর সুন্নাতে মুয়াক্কাদা ও ফরজে কেফায়া। অর্থাৎ প্রত্যেক এলাকায় পূর্ণ কোরআন শুদ্ধভাবে পাঠকারী একটি দল থাকা আবশ্যক। (মুকাদ্দামায়ে জাযারিয়া : ১১, মা’আরেফুল কোরআন : ৪/৪৮৯)
বিএইচ/