ছবি : সংগৃহীত
শীতকাল আসে, আর সঙ্গে নিয়ে আসে রোমান্টিক আবহ। এই মৌসুমে মানুষ যেন এক অদ্ভুতভাবে প্রেমে পড়তে শুরু করে। শীতের ঠান্ডা, মিঠে রোদ, বিকেলের স্নিগ্ধতা—সব মিলিয়ে হৃদয়ে প্রেমের ঝিলিক দেখা দেয়। কেন শীত-বসন্তে প্রেমের অনুভূতি বাড়ে? এর পেছনে রয়েছে কিছু মনস্তাত্ত্বিক এবং বৈজ্ঞানিক কারণ।
প্রথমত, শীতকালে মানুষের মন অনেকটা উন্মুক্ত হয়ে ওঠে। গ্রীষ্মের তাপদাহের পর ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় মন সহজেই আনন্দিত হয়। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা, বাইরে খাওয়া-দাওয়া, ছুটিতে বেড়ানো—এসবের মাধ্যমে নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগও বাড়ে। আর শীতকালে দিনের ছোট হওয়া, সন্ধ্যার একাকিত্ব—এই সময় মানুষ একে অপরের পাশে থাকতে চায়। বিকেলের স্নিগ্ধতা, রাতের ঠান্ডা—এসব এক ধরনের নরম অনুভূতি তৈরি করে, যা প্রেমের আকাঙ্ক্ষাকে তীব্র করে তোলে।
বৈজ্ঞানিক দিক থেকেও শীতে হরমোনের স্তরের পরিবর্তন ঘটে। শরীরে অক্সিটোসিন এবং ডোপামিনের নিঃসরণ বেড়ে যায়, যা প্রেম ও বন্ধুত্বের অনুভূতি বাড়ায়। শীতকালে ঠান্ডার মধ্যে উষ্ণতার খোঁজে মানুষ একে অপরের কাছাকাছি আসে।
এছাড়া, শীতের মাস ডিসেম্বরের শুরুতেই নতুন বছরের পরিকল্পনা এবং পুরোনো বছরের ভুলে যাওয়ার খোঁজ মানুষের মধ্যে এক নতুন আশা জাগায়। এই সময় নতুন সম্পর্কের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়। শীতকালে প্রেম সত্যিই এক বিশেষ অনুভূতি হয়ে ওঠে, যা মানবহৃদয়কে একে অপরের দিকে টেনে নিয়ে আসে।
ডিআর/এটিআর