-67ab4d11ed953.jpg)
ঝরা বকুল আর খসে পড়া তারার মত-
আমার মৃত্যুটা হতে পারে স্বাভাবিক;
হতে পারে সুস্থ সবল দেহটা চলন্ত ট্রাকে হঠাৎই নিস্তেজ।
কখনও আবার এও ভাবি,
কোনো এক শীতের ভোরে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় আমাকে দেয়া হচ্ছে ফাঁসি।
কিংবা ধরুন মস্তিষ্ক বিকৃত হয়ে পড়ে আছি আলি শাহের মাজারে।
বেওয়ারিশ লাশ হয়ে বোঝা হতে পারি মর্গের,
তারা ফের দেহখানি সপে দিতে পারে
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের জং ধরা ল্যাবে।
হতে পারি শেয়াল বা কুমিরের এক পেট আহার,
নতুবা এও দেখতে পারেন-
দুপুরের ব্রেকিংয়ে বা সংবাদ শিরোনামে :
‘ডুবে মরা বারোজনে, আমিও তাঁদেরই একজন।’
প্রাণ সংশয় আর সংকটে, মৃত্যুটা যেমনই আসুক, জানিয়ে রাখা ভালো...
জীবন নিয়ে আমার কোনোদিন কোনো অভিযোগ ছিল না,
বেঁচে থাকার এই পুরোটা গল্প জুড়ে
আমি হেঁটে গেছি দুপায়ে ভর করে, কত শত শূন্যতাকে সাক্ষী মেনে অসীমের দুয়ারে।
কত অনিশ্চিত আর শনির দুয়ার পাশ কাঁটিয়ে, প্রেম এসে ফিরে গেছে আমারও,
আমিও কেঁদেছি কত, হেসেছি প্রাণ খুলে।
আমারও লোভ ছিল, ক্ষোভ ছিল;
লাভ ছিল অন্যের বিনাশে।
সেরাদের সেরা হতে না পারার মিথ্যা মোহে আমিও আচ্ছন্ন হয়েছি বহুবার।
আমিও বলেছি কত, তাকে ছাড়া বাঁচবো না।
অথচ দেখুন না, দিব্যি বেঁচে আছি নতুন এই প্রহরে।
আমিও চেয়েছি হতে ডাক্তার, ক্যাডার, কখনও বা প্রশাসনিক কর্তা, মহাজন।
চেয়েছি যতদূর চোখ যাবে ততটুকু আমার হবে।
আলিশান গাড়ি-বাড়ি, রাজপ্রাসাদ;
প্লেট ভরা শত পদ, সুনাম, খ্যাতি, যশ
কিইবা চাইনি আমি।
কতকিছু পাইনি তবু-
জীবন নিয়ে আমার সত্যি কোনোদিন কোনো অভিযোগ ছিল না!
দুচোখে যা দেখলাম মাঠ, ঘাট, ফুল-ফল,
এই বা কজন পায়!
পোষা প্রেম বুড়ো হল, কতজন ফিরে গেল,
গল্প বলিনি তবু- গল্প কি শেষ হল!
এতো শত অভিযোগ, কত কত দুর্ভোগ
তবু বিশ্বাস করুন,
জীবন নিয়ে সত্যি আমার, কোনোদিন কোনো অভিযোগ ছিল না!
এমএইচএস