Logo
Logo

গণমাধ্যম

১৭ বছর পর যায়যায়দিনে শফিক রেহমান

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:৪৭

১৭ বছর পর যায়যায়দিনে শফিক রেহমান

ছবি : বাংলাদেশের খবর

দীর্ঘ ১৭ বছর পর (২০০৭-২০২৪) যায়যায়দিনে ফিরেছেন শফিক রেহমান। যায়যায়দিনের সাংবাদিক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা দীর্ঘদিন পর শফিক রেহমানকে পেয়ে আবেগাপ্লুত হন  এবং লাল গোলাপ দিয়ে তাকে বরণ করে নেন। 

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) শফিক রেহমানের পক্ষে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘প্রখ্যাত সাংবাদিক ও টিভি উপস্থাপক শফিক রেহমান সম্পাদিত যায়যায়দিন ২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেনের সেনা সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। প্রধাণত এ কারণে তৎকালীন সেনাপ্রধানের চাপে যায়যায়দিন পত্রিকা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন শফিক রেহমান। তিনি যায়যায়দিন কারও কাছে কখনো বিক্রি করেননি। সে সময় তিনি পত্রিকাটির সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগও করেননি। এ কারণে শফিক রেহমানের অনুপস্থিতিতে পত্রিকাটিতে সম্পাদক হিসেবে কারও নাম যায়নি।’ 

আরও বলা হয়, ‘তদানীন্তন সেনাপ্রধানের অসন্তোষের কারণে এপ্রিল ২০০৮-এ শফিক রেহমানকে সম্পাদক পদ ছেড়ে দিতে বাধ্য করা হয়। শফিক রেহমান সে সময় সেনা সমর্থিত সরকারের সঙ্গে কোনো আপস করেননি। আশির দশকে সামরিক শাসক এরশাদের সঙ্গেও শফিক রেহমান কোনো আপস করেননি। সেই সময়ও তাকে সাপ্তাহিক যায়যায়দিন ছেড়ে লন্ডনে নির্বাসনে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল।’

যায়যায়দিনের সম্পাদনা ও প্রকাশনা ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন হয়নি উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘যায়যায়দিনের জমি, ভবন, এর সমস্ত সম্পদ এবং যায়যায়দিনের পত্রিকার নামের টাইটেল বাবদ একটি টাকাও নেননি শফিক রেহমান। এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি প্রতিষ্ঠিত হয় তৎকালীন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক কর্তৃক ২০১২ সালে আনীত একটি সুয়োমোটো মামলার শুনানিতে। এর বিবরণ সে সময় বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। গত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী সরকারের সহযোগিতায় এইচআরসি গ্রুপ যায়যায়দিন জবরদখল করে রেখেছিল।’

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ ও হত্যা পরিকল্পনার অভিযোগে ২০১৬ সালে শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রায় ছয় মাস কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়ে ক্যানসার আক্রান্ত স্ত্রী তালেয়া রেহমানের চিকিৎসার উদ্দেশ্যে শফিক রেহমান লন্ডন যান। জয় অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় ২০২৩ সালে শফিক রেহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মামলাটি সম্পূর্ণ সাজানো, মিথ্যা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হওয়ায় বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার শফিক রেহমানকে এ মামলার দণ্ড এক বছরের জন্য স্থগিত করেছে এবং স্থায়ী জামিন দিয়েছে।

এনকেবি/এমজে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর