Logo

গণমাধ্যম

ভোরের কাগজ বন্ধ

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:৫৯

দেশের অন্যতম জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ‘ভোরের কাগজ’ বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২০ জানুয়ারি) প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী সম্পাদক একে সরকার (তিনি একইসঙ্গে কর্ণফুলী গ্রুপের আবাসিক পরিচালক) স্বাক্ষরিত এক অফিসিয়াল নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়। দাবিদাওয়া পূরণে প্রতিষ্ঠানটির সাংবাদিক-কর্মচারীদের দেওয়া পাঁচ দিনের আল্টিমেটামের পরের দিনই পত্রিকা বন্ধের এই ঘোষণা এল।

নোটিশে জানানো হয়, বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ১২ ধারা অনুযায়ী, মালিকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা পরিস্থিতির কারণে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। ২০ জানুয়ারি থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রধান কার্যালয় বন্ধ থাকা মানে পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যাওয়া। 

বন্ধের সিদ্ধান্তের পেছনের আর কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ বা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু হওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। পত্রিকা বন্ধ হওয়ার খবরে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। 

এর আগে, রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মালিবাগের মৌচাক এলাকায় ভোরের কাগজ অফিসের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাংবাদিক-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে ভোরের কাগজের সাংবাদিক-কর্মচারীদের দাবি দাওয়া পূরণে পাঁচ দিনের আল্টিমেটাম দেন সাংবাদিক নেতারা। 

বিক্ষোভ সমাবেশে খুরশীদ আলম ছাড়াও বক্তব্য দেন ডিইউজের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য ও ডিইউজের সাবেক সহসভাপতি শাহীন হাসনাত, ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খান, ডিইউজের কোশাধ্যক্ষ খন্দকার আলমগীর হোসাইন, ডিইউজের দপ্তর সম্পাদক ইকবাল মজুমদার তৌহিদ, ডিইউজের নির্বাহী সদস্য এম মোশাররফ হোসাইন।

বিক্ষোভ সমাবেশে বলা হয়, ভোরের কাগজ ৮ম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করেছে- এমন ঘোষণা দিয়ে সরকার থেকে ৯০০ টাকা কলাম ইঞ্চি বিজ্ঞাপনসহ সকল সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে। কিন্তু সাংবাদিক-কর্মচারীদেরকে ওয়েজ বোর্ডের বেতন স্কেলের সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছে। অনেককেই কোনো নিয়োগপত্র দেয়নি। বিক্ষোভ সমাবেশ  থেকে নিয়োগপত্র, ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নসহ সমস্ত বকেয়া বেতনসহ সার্ভিস বেনিফিট দিতে হবে বলে দাবি জানানো হয়। 

এইচকে/এমআই/ 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর