ডাক ও টেলি প্রকল্পের দুর্নীতি তদন্তে যা উঠে এল
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:১৫
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতায় ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোতে অনিয়ম ও চ্যালেঞ্জের একটি বিস্তৃত চিত্র উঠে এসেছে। বিভাগের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের নির্দেশে গঠিত চার সদস্যের তদন্ত কমিটি সম্প্রতি ৯০ দিনের পর্যালোচনা শেষে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সমন্বয় ও পরিকল্পনার অভাবে বেশ কিছু প্রকল্প যথাযথ সমীক্ষা ও অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়াই নেওয়া হয়েছিল। এর ফলে কার্যপরিধি ও ডিজাইনে বারবার পরিবর্তন আনতে হয়েছে, যা সময় ও ব্যয় উভয়ই বৃদ্ধি করেছে। অনেক প্রকল্পে অডিট আপত্তি রয়ে গেছে, যা আর্থিক স্বচ্ছতায় বাধা সৃষ্টি করেছে। প্রকল্পের আর্থিক প্রভাব ও লাভজনকতার মূল্যায়ন সঠিকভাবে হয়নি।
তদন্ত প্রতিবেদন বলছে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতায় বাস্তবায়িত বেশ কিছু প্রকল্পের প্রকল্পসমাপ্তি রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়নি, যা কার্যকারিতা মূল্যায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।
তদন্ত কমিটি প্রকল্প পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে একাধিক সুপারিশ করেছে। সেগুলো হলো-
সঠিক সমীক্ষা ও পরিকল্পনা : প্রকল্প গ্রহণের সময় অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ এবং যথাযথ সমীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি : দ্রুত অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি এবং ভ্যাট-ট্যাক্স নিয়মিতভাবে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রকল্প পরিচালকের স্থায়িত্ব : প্রকল্প অনুমোদনের সঙ্গে সঙ্গে প্রকল্প পরিচালকের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
মান নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণ : প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় নিয়মিত পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণে জোর দিতে হবে।
এইচকে/ওএফ