Logo
Logo

জাতীয়

অর্ধশত বিচারক-কর্মকর্তার দুর্নীতি তদন্ত চেয়ে করা রিট খারিজ

Icon

আদালত প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:০৫

অর্ধশত বিচারক-কর্মকর্তার দুর্নীতি তদন্ত চেয়ে করা রিট খারিজ

সারাদেশের অধস্তন আদালতের প্রায় অর্ধশত বিচারক ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার সম্পদ ও দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে দায়ের করা রিট আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনটি সরাসরি (সামারিলি রিজেক্ট) খারিজ করেন।

আগের দিন সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আমিমুল এহসান জোবায়ের জনস্বার্থে এ রিট আবেদন করেছিলেন। রিটে আইন মন্ত্রণালয় সচিব, দুদকের চেয়ারম্যান, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেলসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুপ্রীম কোর্টের এক আইনজীবী বলেন, যেহেতু বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কমিশন তৎপর রয়েছে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অনুসন্ধান চলছে সেক্ষেত্রে এই রিট করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

গত ১৬ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘অবিশ্বাস্য সম্পদ অর্ধশত বিচারক-কর্মকর্তার অ্যাকাউন্টে শতকোটি টাকা অনেকের’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদনটি রিট আবেদনের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছিল।

ওই প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, বিচার বিভাগের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তার অবিশ্বাস্য সম্পদের তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের অনেকেই অবৈধ উপায়ে শতশত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। কেউ কেউ আবার হাজার কোটি টাকার মালিক। অনেকের আলিশান ফ্ল্যাট রয়েছে দেশে ও বিদেশে। কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়ি কিনেছেন বেশ কয়েকজন। শত শত বিঘা জামির মালিকানা অর্জন করেছেন কয়েকজন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গোয়েন্দা শাখার গোপন অনুসন্ধানে বিচার বিভাগের ৫১ জনের দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের নামে-বেনামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্যও রয়েছে দুদকের কাছে।

শিগগিরই প্রকাশ্যে অনুসন্ধান শুরু হবে। অনুসন্ধানে ওইসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নামে-বেনামে আরও সম্পদ পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  

দুদকের অনুসন্ধান থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, গত এক দশকে বিশেষ করে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচনের পর আনিসুল হক আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলে ধীরে ধীরে কলুষিত হতে থাকে বিচার বিভাগ। ওইসব কর্মকর্তা মন্ত্রীর আস্থাভাজন হওয়ায় তারা ক্ষমতার অপব্যবহার, নানা অনিয়ম, দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে।

জেইউ/ওএফ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর