Logo
Logo

জাতীয়

সেন্টমার্টিন ভ্রমণে বিধিনিষেধ কেন অবৈধ ঘোষণা নয় : হাইকোর্ট

Icon

আদালত প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:৫৯

সেন্টমার্টিন ভ্রমণে বিধিনিষেধ কেন অবৈধ ঘোষণা নয় : হাইকোর্ট

সেন্টমার্টিন ভ্রমণে সরকারের বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায়ের বেঞ্চ রোববার (১৫ ডিসেম্বর) এ রুল জারি করেন।

পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আমির হোসেন ও উজ্জ্বল হোসেন।

অ্যাডভোকেট আমির হোসেন বলেন, ‘সেন্ট মার্টিন দ্বীপে অনিয়মিত পর্যটন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের দূষণ নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ আরোপ করে গত ২৮ অক্টোবর যে অফিস আদেশ জারি করেছিল পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সেই প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ২১ নভেম্বর হাই কোর্টে এই রিট আবেদন করা হয়। ওই রিট আবেদনের ওপর তিনদিন শুনানি শেষে আজ আদালত রুল জারি করলেন।’ 

বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণ-পূর্বে মিয়ানমার সীমান্তের কাছে সাগরের বুকে ৮ দশমিক ৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ছোট্ট প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন। কক্সবাজার জেলা শহর থেকে এর দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার।

বিস্তৃত জলরাশি আর মোহনীয় সৌন্দর্য্যের জন্য এই দ্বীপটিতে পর্যটকরা বেড়াতে ভালোবাসেন। সম্প্রতি এই দ্বীপের জীববৈচিত্র্য ও প্রাণ-প্রতিবেশের সুরক্ষায় সেখানে পর্যটক সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি বছর কেবল নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত দ্বীপটিতে ভ্রমণ করা যাবে। ফেব্রুয়ারিতে ভ্রমণ নিষেধ থাকবে।

এর মধ্যে নভেম্বরে দিনে গিয়ে দিনে চলে আসতে হবে, রাত কাটানো যাবে না। বাকি দুই মাস রাত্রিযাপনে বাধা নেই। তবে দিনে দুই হাজারের বেশি পর্যটক যাওয়া যাবে না।

সরকারের এমন সিদ্ধান্তের পর পর্যটন ব্যবসায় জড়িত ও ভ্রমণ পিপাসুরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে দ্বীপটির বাসিন্দারা যেমন কর্মহীন হবেন, তেমনি সেখানে পর্যটনকন্দ্রিক ব্যবসায়ও ধস নামতে পারে।

প্রসঙ্গত, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণে সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করেছে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ যুক্ত করে সরকারের ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি এ এন এম হেলাল উদ্দিন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার, কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট আটজনকে বিবাদী করা হয়।

জেইউ/এমজে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর