রাজধানীর আফতাবনগরে ছুরিকাঘাতে আহত নারী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন। নিহতের নাম সুবর্ণা আক্তার মিম (২২)। তবে পরিবারের দাবি, মিমকে তার স্বামী ছুরিকাঘাত করে পালিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে এ ঘটনা ঘটে। আফতাবনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) মো. মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বুধবার দিবাগত রাতে আফতাবনগর বি ব্লক থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মিমকে নিরাপত্তাকর্মীরা উদ্ধার করে স্থানীয় নাগরিক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে স্বজনরা সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভোর ৫টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
শরিয়তপুর জেলার নওডোবা থানার হাজী অসিম উদ্দিন মাতবর কান্দি গ্রামের সোহরাব খানের মেয়ে মিম আফতাবনগরের তিন নম্বর রোডের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।
নিহতের বোন তাহমিনা আক্তার জানান, দুই বছর আগে শেখ সোহেলের সাথে মিমের বিয়ে হয়। এটি তদের দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। তাদের সাত মাসের ছেলে রয়েছে। সোহেল আগের স্ত্রীকে নিয়ে মোহাম্মদপুরে থাকেন। সেখানেই ব্যবসা করেন।
তাহমিনা আরও বলেন, আগের স্ত্রীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে বলে মিমকে বিয়ে করেন সোহেল। কিন্তু বিয়ের পর মিম জানতে পারে যে আগের স্ত্রীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়নি। বিয়ের পরেও মিম আফতাবনগরে আমাদের কাছেই থাকতো। তার স্বামী আমাদের বাসায় যাতায়াত করতেন। প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে মিমকে নিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছিল সোহেল। এসব নিয়ে মাঝে মধ্যে তাদের ঝগড়া-বিবাদ হতো।
এসব কারণে গতরাতে (১৮ ডিসেম্বর) সোহেল বনানীর একটি ক্লাবে যাওয়ার কথা বলে মিমকে নিয়ে বের হয়। ভোরে জানতে পারি যে মিম আফতাবনগর নাগরিক হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে আছে। পরে সেখান থেকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাই। মিমের স্বামীই তাকে ছুরিকাঘাত করে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে গেছে।
এআইবি/ওএফ