অবরোধের পর জাহাঙ্গীর গেট ছাড়লেন চাকরিচ্যুত সেনারা
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:৪২
প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধের পর রাজধানীর জাহাঙ্গীর গেট এলাকার সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত ও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো সেনা সদস্যরা।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ১১টা থেকে ওই সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন অবসরে পাঠানো সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় ওই সড়ক ও আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট হয়।
পরে দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটের দিকে মহাখালী থেকে জাহাঙ্গীর গেট অভিমুখের সড়কে সীমিত পরিসরে যান চলাচল করতে দেওয়া হয়। আর দুপুর ১টার দিকে ওই এলাকায় যান চলাচল পুরোদমে শুরু হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন অভিযোগে চাকরিচ্যুত ও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্ল্যাটফর্ম ‘সহযোদ্ধা’-এর ব্যানারে বিক্ষোভকারীরা সকাল ৮টা থেকে জাহাঙ্গীর গেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। বেলা সোয়া ১১টার দিকে তারা সড়কে বসে পড়ে বিক্ষোভ করেন।
এদিকে সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিক্ষোভকারী ব্যক্তিদের একটি প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়েছে।
বৈঠক শেষে সহযোদ্ধার প্রধান সমন্বয়ক মো. নাঈমুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে একটি পর্ষদ গঠন করে দাবিগুলোর বিষয়ে আলাপ-আলোচনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পরে বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা সড়কের এক পাশে সরে যান।
তাদের তিন দফা দাবি হলো- চাকরিচ্যুতির সময় থেকে এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরি পুনর্বহাল করতে হবে। যদি কোনো সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের চাকরি পুনর্বহাল করা সম্ভব না হয়, তাহলে তাদের সরকারি সব সুযোগ-সুবিধাসহ সম্পূর্ণ পেনশনের আওতাভুক্ত করতে হবে এবং যেসব আইনি কাঠামো ও একতরফা বিচারব্যবস্থার প্রয়োগে শত শত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, সেই বিচারব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে।
ডিআর/এমবি