দুই মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল
আদালত প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৪৮
ছবি : সংগৃহীত
চাঁদাবাজির অভিযোগে পৃথক দুই মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে রিমান্ডে নিয়ে দুইদিন করে চারদিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
কামারাঙ্গীরচর থানায় দায়ের হওয়া দুই মামলার পৃথক তদন্ত কর্মকর্তা ১০ দিন করে ২০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। এ শুনানি উপলক্ষে কারাগার থেকে আসামিকে আদালতের এজলাসে হাজির করা হয়।
শুনানিতে তার আইনজীবীরা রিমান্ডে নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই মর্মে পুলিশের আবেদন নামঞ্জুর করে জামিন চান।
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে বিচারক দুই দিন করে ৪দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন।
কামরুল ইসলাম দুই মামলার এজাহারনামীয় আসামি। তার নির্দেশেই অপরাধ সংঘটিত হয়েছে মর্মে অভিযোগ আনা হয়েছে।
এক মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, বাদী সগির আহমেদ সুজনের বাড়ি ভাঙচুরের হাত থেকে বাঁচাতে তার কাছ থেকে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন কামরুল ইসলাম। সগির আহমেদ একজনের মাধ্যমে তাকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দেন। চাঁদা দাবির বাকি টাকা দিতে অস্বীকার করায় কামরুলের নির্দেশে মামলার অপর আসামিরা গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর বাদীর বাড়িতে ঢুকে জিনিসপত্র ভাঙচুর করাসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সগির আহমেদ গত ৪ সেপ্টেম্বর সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপসসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে আদালতে মামলা করেন।
এছাড়া একই থানায় ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি, মারধর, ভাঙচুর এবং শ্লীলতাহানিসহ প্রাণনাশের অভিযোগে চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর আরেকটি মামলা করেন ব্যাবসায়ী আলী আহাম্মদ।
এ মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ছাড়াও ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
আদালতে নালিশী মামলা দুটি দায়েরের পর আদালতের নির্দেশে কামরাঙ্গীরচর থানায় সরাসরি এজাহার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
এম এ জলিল উজ্জ্বল/এটিআর