Logo
Logo

জাতীয়

বৈশ্বিক ডাকসেবায় বাংলাদেশের বড় লাফ

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৪০

বৈশ্বিক ডাকসেবায় বাংলাদেশের বড় লাফ

ছবি : সংগৃহীত

ডাকসেবার বৈশ্বিক র‍‍্যাংকিংয়ে ৫১ ধাপ এগিয়ে ১৭৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৬৮তম। গত ১৭ ডিসেম্বর ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়ন (ইউপিইউ)-এর প্রকাশিত ‘সমন্বিত ডাক উন্নয়ন সূচক-২০২৪’ (2IPD) প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ইউপিইউ’র প্রতিবেদন বলছে, বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ ডাক ভিাগের 2IPD স্কোর বর্তমানে ৫৪। ১৭৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৬৮তম। 

জানা গেছে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ পোস্ট ডেভেলপমেন্ট লেভেল ৬-এ উন্নীত হয়েছে। এর আগে, ২০২৩ ও ২০২২ সালে ছিল (যথাক্রমে লেভেল) ৩ ও ২ - এ। ডেভেলপমেন্ট লেভেল ও র‍‍্যাংকিংয়ে বড়সড় লাফ দিয়েছে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ।

বৈশ্বিক র‍‍্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে আস্থা, পৌঁছানো, প্রাসঙ্গিকতা ও সহনশীলতা— এ চার সূচকের ওপর ভিত্তি করে একেকটি দেশের স্কোর ও ধাপ নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ আস্থায় ৭২, পৌঁছানোয় ৫৪.৮, প্রাসঙ্গিকতায় ৪.৮, সহনশীলতায় ৯১.৮ পয়েন্ট অর্জন করেছে। এছাড়া বোনাস পেয়েছে ৩ পয়েন্ট।

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মধ্যে ভারত ৪২তম (স্কোর ৭৩), পাকিস্তান ৮০তম (স্কোর ৪৬.৪), শ্রীলংকা ৬৭তম (স্কোর ৫৪.৩), নেপাল ১১৪তম (স্কোর ২৭.৩), ভূটান ১২৬তম (স্কোর ২২.২), এবং মালদ্বীপ ১০৩তম (স্কোর ৩২.৩) অবস্থানে রয়েছে। 

শীর্ষ তিনের রয়েছে- ১. জার্মানি (স্কোর ১০৮.৬), ২. সুইজারল্যান্ড (স্কোর ১০৮.৬) এবং ৩. জাপান (স্কোর ১০৫.৯)।

ইউপিইউ’র প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, সহনশীলতা সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ৯১.৮। যা এলডিসি দেশগুলোর মধ্যে ব্যতিক্রমীভাবে উচ্চ। অর্থাৎ, বাংলাদেশ তার ডাক ব্যবস্থাকে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত যৌক্তিক বাধার সাথে খাপ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে আরও বলা হয়েছে, ব্যতিক্রম ছাড়া পৌঁছানো সূচকে বেশিভাগ এলডিসি দেশের তুলনামূলকভাবে কম স্কোর দেখা যায়। তবে ব্যতিক্রমী হিসেবে বাংলাদেশ ও ইথিওপিয়া উচ্চ স্কোর করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ৫৪.৮ ও ইথিওপিয়া ৫২। বিষয়টি ভালো ভৌগোলিক কাভারেজ এবং আন্তর্জাতিক সংযোগ নির্দেশ করে।

এবারের আগে ২০২০ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত বৈশ্বিক র‍‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের স্কোর ও অবস্থান ছিলো- ১৫.৮০ (১২৮তম/১৭০), ১০.০২ (১৪৩তম/১৬৮), ১৩.৯০ (১৩৩তম/১৭২) ও ১৮.৩০ (১১৯তম/১৭২)। এবার এক লাফে ৫১ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বাংলাদেশ ডাক বিভাগ শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত সেবা প্রদানের একমাত্র প্রতিষ্ঠান। সরকারি দপ্তর হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি সাশ্রয়ী মূল্যে ডাকসেবা প্রদান করে আসছে। ব্যক্তিগত চিঠির সংখ্যা হ্রাস পেলেও দাপ্তরিক চিঠি, পার্সেল ও ই-কমার্স আর্টিকেলের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ গতানুগতিক ডাকসেবার পাশাপাশি বেশকিছু সরকারি বিশেষায়িত সেবা যেমন— ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভূমিসেবা, পাসপোর্ট পরিবহন, জাতীয় পরিচয়পত্র পরিবহন, বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালযের পরীক্ষার খাতা পরিবহন ইত্যাদি সেবা প্রদান করে আসছে। ৬৪ জেলায় স্ট্যাম্প পরিবহনের কাজও ডাক বিভাগ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।

পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী নির্ভরযোগ্য ও সাশ্রয়ী মূল্যে রেজিস্ট্রি লেটার, পার্সেল ও ইএমএস সেবা প্রদান করছে ডাক বিভাগ। এছাড়া সঞ্চয়পত্র, সঞ্চয় ব্যাংক স্কিম, ইএমটিএস, নগদ, ডাক জীবন বীমার বিভিন্ন স্কিমসহ বেশকিছু আর্থিক সেবা প্রদান করে বিভাগটি।

রেজাউল হক ডালিম/এটিআর

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর