লিবিয়ায় নিয়ে বন্দী : পাচার চক্রের সুনির্দিষ্ট তথ্য চায় সরকার
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:৩৭
ছবি : সংগৃহীত
ইউরোপ যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর মানুষরা দালালদের খপ্পরে পড়ে পাচারের শিকার হচ্ছেন, মোটা অঙ্কের অর্থ মুক্তিপণ দিয়েও অনেকের ভাগ্যে জুটছে না মুক্তি। জীবনও দিতে হচ্ছে অনেককেই। মুক্তির পাশাপাশি আইনি সহযোগিতাও মিলছে না ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারস্থ হলেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশের অজুহাতে অভিযোগ না নিয়েও ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আইনের প্রাথমিক ধাপ অর্থাৎ অভিযোগই করতে পারছে না ভুক্তভোগীরা। অথচ ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা লেনদেনের সকল প্রমাণসহ দালালদের ঠিকানা জানিয়েও আইনি সেবা পাচ্ছে না ভুক্তভোগী স্বজনরা।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের প্রেক্ষিতে এসব বিষয়ে কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নে জবাবে ইউরোপের স্বপ্ন দেখিয়ে লিবিয়ায় নিয়ে বন্দী করা চক্রের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়েছেন। যদিও সুনির্দিষ্ট তথ্য নিয়ে সম্প্রতি রাজধানীর গুলশান থানায় গিয়েও অভিযোগ করতে পারেননি লিবিয়ায় বন্দী থাকা এক বন্দির স্বজনরা।
গুলশান থানার ঘটনা জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরকম ঘটনা আমার জানা নেই। তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতির দরকার নেই বলে বলছেন তিনি। তিনি বলেন, ওসি তো নিজেই মামলা নিতে পারেন।
তবে সংশ্লিষ্টরা জানান, সিআরপিসি, বিপিসি অনুযায়ী ওসি নিজেই মামলা নিতে পারেন। অনুমতির দরকার পড়ে না।
এদিকে লিবিয়ায় প্রায় এক হাজারের বেশি মানুষ বন্দি অবস্থায় রয়েছেন। সেখানে তাদের নির্যাতন করা হচ্ছে। বাংলাদেশে বিভিন্নভাবে টাকা নিচ্ছে, লেনদেন হচ্ছে।
জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ভুক্তভোগীরা যদি আমাদের কাছে আসে তাহলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব, যারা এসব করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়া হবে। কোনো ভুক্তভোগী যদি থাকে তাহলে তাদের আমাদের কাছে পাঠান। লিবিয়ায় যারা আটকা তারাই আমাদের রত্ন, বড় সম্পদ।
তিনি আরও বলেন, ‘যারা লিবিয়াতে গিয়ে আটকা আছে তাদের ফিরিয়ে আনতে আমাদের পক্ষ থেকে যতোটা করা সম্ভব তাই করব। এজন্য আমাদের সুনির্দিষ্ট তথ্য দরকার। তারা আমাদের সম্পদ। অনেক কষ্ট করে তারা দেশে অর্থ পাঠাচ্ছে।’
এনএমএম/এমআই