ভুয়া তিন দুদক কর্মকর্তারকে রিমান্ডে নিয়ে তিনদিন করে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তা জাহির করতে রাজধানীতে সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের সামনে ফেসবুকে লাইভ করতে এসে ধরা পড়া তিন প্রতারক হলেন, মো. রায়হান ওরফে সৈয়দ রায়হান, সোলায়মান মুফতি ও রফিকুল ইসলাম সম্রাট।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
আদালতে আসামিদের রিমান্ড বাতিল করে জামিন চেয়ে আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা।
রাজধানীর পল্টন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে সাতদিন জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, আসামিরা ছদ্মবেশে নিজেদের দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান পরিচালনা, জরিমানা ধার্য ও আদায়ের নামে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের তথ্য জানতে আসামিদের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
রাজধানীর পল্টন থানায় প্রতারণার অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলায় পটুয়াখালীর সোলাইমান মুফতি, সিয়াম মাহমুদ মোবারক, হবিগঞ্জের রনি আহেমদ পায়েলসহ অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও আটজনকে আসামি করা হয়েছে।
এরা সবাই প্রতারক চক্রের সদস্য বলে এজাহারে অভিযোগ করা হয়।
জেইউ/এমজে