Logo
Logo

জাতীয়

মমতার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাল কারা অধিদপ্তর

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:০১

মমতার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাল কারা অধিদপ্তর

‘ভারতীয় মৎসজীবীদের লাঠি দিয়ে মেরেছে বাংলাদেশ’ এমন শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে কারা অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) কারা অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) জান্নাত-উল-ফরহাদ বাংলাদেশের খবরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

গণমাধ্যমেও তার স্বাক্ষরিত একটি প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয়েছে। 

প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ করা হয়, প্রকাশিত ওই সংবাদে মমতা বন্দোপাধ্যায় কয়েকজনের খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটা, মোটা লাঠি দিয়ে মারধর করা, দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা এবং চিকিৎসা না করানোর কথাও উল্লেখ করেছেন, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। 

প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, ভারতীয়  হাইকমিশনের প্রতিনিধি দলের উপস্থিতিতে গত ২ জানুয়ারি পটুয়াখালী জেলা কারাগার থেকে ৩১ এবং বাগেরহাট জেলা কারাগার থেকে ৬৪ জেলেকে মুক্তি দেওয়া হয়। হস্তান্তরকালে ভারতীয় নাগরিকরা কারাগারে নির্যাতনের কোনো অভিযোগও করেননি। সব বন্দিকে কারাগার থেকে হস্তান্তরকালে সুস্থ অবস্থায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়। 

আরও বলা হয়, সহকারী সার্জন কর্তৃক সুস্থতার সনদও প্রদান করা হয়। কারাগারে তারাও ভালো ব্যবহার, সুচিকিৎসা পেয়েছেন এবং বাংলাদেশি বন্দিদের সাথে সমঅধিকার ভোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন। 

এমনকি অনেকে এক পোশাকে আগমন করায় কারা কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শীতবস্ত্রসহ সব প্রকার পোশাকাদি সরবরাহ করে। এ সংক্রান্ত ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘নিউজবাংলা’র সাক্ষাৎকারে একজন বন্দি জেলে জানায়, কারাগারে তাদের কোনো নির্যাতন করা হয়নি। সুতরাং মমতা বন্দোপাধ্যায় কর্তৃক উত্থাপিত অভিযোগ সত্য নয়। 

কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, বাংলাদেশ জেল সবসময় জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব বন্দির প্রতি সমআচরণ করে থাকে। বিদেশি বন্দিদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আরও গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে বিশেষ খেয়াল রাখা হয়। কারাগারে সব ধর্মের বন্দিদের যার যার ধর্মীয় উৎসব-রীতি পালনের সুযোগ দেওয়া হয়। বিশেষ উৎসবে বন্দিদের বিশেষ খাবারও পরিবশেন করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের একটি সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে কারা অধিদপ্তর প্রকাশিত সংবাদে উত্থাপিত অসত্য অভিযোগের জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছে। 

সহকারী কারা মহাপরিদর্শক জান্নাত উল ফরহাদ বলেন, ‘আমরা আশা করছি, সব দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সংবেদনশীল বিষয়সমূহের ক্ষেত্রে তাদের উত্থাপিত তথ্য/বক্তব্যের সঠিকতা নিশ্চিত করবেন, যা দু’দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে।’

এনএমএম/এমজে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর