ভোটার তালিকা হালনাগাদে যেসব নির্দেশনা দিল ইসি
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:০৭
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি ২০২৫-এর আওতায় ভোটারযোগ্য ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ, যাচাই ও মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে কর্তনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম চলবে। কার্যক্রমটি ২০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে সম্পন্ন করা হবে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এক পরিপত্রে এ কার্যক্রমের জন্য বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়, ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পূর্বে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিরা, যারা বিগত ভোটার তালিকা হালনাগাদে বাদ পড়েছেন, তাদের ভোটার তালিকাভুক্তি, মৃত ভোটারদের নাম কর্তন এবং স্থানান্তরিত ভোটারদের নিবন্ধন বিষয়েও কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
নির্দেশনাগুলোর সারাংশ :
১. ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পূর্বে জন্মগ্রহণকারী এবং পূর্বে বাদ পড়া ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ।
২. তথ্য সংগ্রহের আগে প্রমাণ করতে হবে যে, কেউ পূর্বে ভোটার হয়েছেন কিনা।
৩. বাদ পড়া ভোটারদের বাদ পড়ার কারণ যাচাই।
৪. নামের পূর্বে বা পরে কোনো পদবি, খেতাব বা অর্জিত শিক্ষা যোগ করা যাবে না।
৫. বাংলা নামের ইংরেজি বানান সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
৬. উপস্থিত না থাকা ভোটারদের তথ্য রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
৭. নিবন্ধন স্লিপ (ফরম-৫) পূরণের সাথে সাথে সরবরাহ করতে হবে।
৮. তথ্য সংগ্রহকারীদের দৈনন্দিন কাজ তদারকি ও নমুনা যাচাই করতে হবে।
৯. ভুল থাকলে তা সংশোধন করতে হবে।
১০. নারীদের ভোটার নিবন্ধনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
১১. নিবন্ধন কেন্দ্রে উপস্থিতি নিশ্চিত করা।
১২. বিশেষ এলাকার জন্য বিশেষ তথ্য ফরম পূরণের সময় যথাযথ যাচাই করতে হবে।
১৩. এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় ভোটার স্থানান্তরের আবেদন কাগজপত্রসহ জমা দিতে হবে।
১৪. মৃত ভোটারের নাম কর্তন করতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
১৫. সুপারভাইজার, তথ্য সংগ্রহকারী ও শনাক্তকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর স্পষ্টভাবে লিখতে হবে।
১৬. রোহিঙ্গা ও ভিনদেশি ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ থেকে বিরত থাকতে হবে।
এই নির্দেশনার মাধ্যমে ভোটার তালিকা হালনাগাদ প্রক্রিয়া আরও কার্যকর ও সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন দৃঢ়প্রতীজ্ঞ বলে পরিপত্রে জানানো হয়েছে।
এসআই/এমজে