Logo

জাতীয়

এরচেয়ে বড় বৈষম্য কী হতে পারে, শিক্ষক প্রসঙ্গে আহমাদুল্লাহ

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৫

এরচেয়ে বড় বৈষম্য কী হতে পারে, শিক্ষক প্রসঙ্গে আহমাদুল্লাহ

ছবি : সংগৃহীত

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি শিক্ষকদের সঙ্গে সবচেয়ে বড় বৈষম্য হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামি স্কলার ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ। 

রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এ কথা জানান তিনি। 

আহমাদুল্লাহ লিখেন, ভাত দেবার মুরোদ নেই, কিল দেবার গোসাই— স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার ক্ষেত্রে এই জিনিসটাই ঘটছে বিগত ৪০ বছর ধরে। সিলেবাস, কারিকুলাম, নীতিমালা সরকার সবই চাপিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু ন্যূনতম জীবন ধারণের মতো বেতনটুকুও দিচ্ছে না।’

তিনি লিখেন, ‘সম্মানীয় শিক্ষকরা যখন অভাব-অনটনের কাছে হার মানেন, একান্ত মানবিক ও যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্যও রাস্তায় নামতে বাধ্য হন,এটা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জার।’

ওই পোস্টের মন্তব্যঘরে ইসলামি এই স্কলার লিখেন,‘একই পরিপত্রে চালু হওয়া রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ২০১৩ সালে সরকারিকরণ করা হয়েছে। শুরুতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি ও রেজিস্টার্ড প্রাইমারি স্কুল উভয় ধারার শিক্ষকদেরই সম্মানী ছিল ৫০০ টাকা। ৪০ বছরের ব্যবধানে রেজিস্টার্ড প্রাইমারি স্কুলগুলোর শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ৩০ হাজারের মতো, সেখানে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ভাতা ৩ হাজারও না। এরচেয়ে বড় বৈষম্য আর কী হতে পারে!’

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও লিখেন,‘সরকারের উচিত, এই শিক্ষকদের প্রতি সুবিচার করা, জাতির ৪০ বছরের ভুল শুধরে নেয়া। আশা করি, সরকার সুবেবচনার পরিচয় দেবে।’

ডিআর/এটিআর

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর