ইসিকে ‘ভোটার প্রার্থী মুখোমুখি’ করার সুপারিশ

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৬

নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ‘ভোটার প্রার্থী মুখোমুখি’ করার সুপারিশ করেছে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জমা দেওয়া ১৮৪ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রস্তাবনায় এমন সুপারিশ করেছে কমিশন।
প্রতিবেদনে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব অংশে এমন সুপারিশ করা হয়। এ অংশের সুপারিশগুলো হলো :
ক. জাতীয় নির্বাচনের পর নির্বাচন কমিশন গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে, ফলাফল গেজেটে প্রকাশের পূর্বে, নির্বাচনের সুষ্ঠুতা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে ঘোষণা প্রদানের বিধান করা।
খ. নির্বাচনের সুষ্ঠুতা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কিত নির্বাচন কমিশনের ঘোষণায় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনো রাজনৈতিক দল সংক্ষুব্ধ হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল বা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে অভিযোগ করার সুযোগ সৃষ্টির বিধান করা। কমিশন/আদালত কর্তৃক সর্বোচ্চ ৭ কার্যদিবসের মধ্যে ওই অভিযোগ নিষ্পত্তি করার বিধান করা।
গ. স্থানীয় সরকারের নির্বাচন অনুষ্ঠানের পুরো দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের কাছে ন্যস্ত করা।
ঘ. ভোটার শিক্ষা ও সচেতনতা এবং গবেষণা কার্যক্রমকে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা। এসব কার্যক্রমে শিক্ষার্থী ও বেসরকারি সংস্থার সহায়তা গ্রহণ করা।
ঙ. নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ‘ভোটার প্রার্থী মুখোমুখি’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।
চ. কমিশন কর্তৃক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের নির্বাচনী ও পোলিং এজেন্টদের সুরক্ষা প্রদানের বিধান করা।
ছ. আউয়াল কমিশন ২০২৩ সালে যেসব বিতর্কিত রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন প্রদান করেছে, যথাযথ তদন্তসাপেক্ষে সেগুলোর নিবন্ধন বাতিল করা।
এসআইবি/এমবি