বিজিবির অভিযান
জানুয়ারিতেই ১৬২ কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬:২৩

চলতি বছরের প্রথম মাসেই (জানুয়ারি) দেশের সীমান্ত এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৬২ কোটি ৫২ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে, ৪ কেজি ৩৬৯ গ্রাম স্বর্ণ, ৪ কেজি ৫২৯ গ্রাম রুপা, ২১০ গ্রাম ডায়মন্ড, ১০ হাজার ১৮৭টি শাড়ি, ৩ হাজার ৯৯৫টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল, ৭ হাজার ২৮৮টি তৈরি পোশাক, ২ হাজার ৬৯৮ মিটার থান কাপড়, ৩ লাখ ৫ হাজার ৮২০টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ১ হাজার ৩৭টি ইমিটেশন গয়না, ৯ লাখ ৬৫ হাজার ৪৬১টি আতশবাজি, ৪ হাজার ৩৫০ ঘনফুট কাঠ, ৪ হাজার ২৬২ কেজি চা পাতা, ১৫ হাজার ৬৫৬ কেজি সুপারি, ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৫২ কেজি চিনি, ২ হাজার ৩৫৬ কেজি সার, ২ হাজার ৬৪১ প্যাকেট বিভিন্ন প্রকার বীজ, ৮২ হাজার ১২৫ কেজি কয়লা, ৭৩০ ঘনফুট পাথর, ১ হাজার ৬০২টি মোবাইল, ৪৯ হাজার ৫০০টি চশমা, ১ লাখ ৭ হাজার ২২৫ কেজি বিভিন্ন প্রকার ফল, ৩০ হাজার ৮৩৭ কেজি রসুন, ১৯ হাজার ৪৯৫ কেজি জিরা, ১টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ৯টি ট্রাক, ১২টি পিকআপ, ৪টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ২টি ট্রলি, ৪৩টি নৌকা, ৩৪টি সিএনজি/ইজিবাইক, ৫৩টি মোটরসাইকেল এবং ১৯টি বাইসাইকেল।
অভিযানে বিভিন্ন প্রকার অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৩টি পিস্তল, ১টি রাইফেল, ২টি এয়ার গান, ১টি ম্যাগাজিন, ২৪ রাউন্ড গুলি, ১টি অটো এয়ার রাইফেল ও ১টি শর্ট গান।
শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘একই সময়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ২৭০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২ কেজি ১৩০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৮ কেজি ৯ গ্রাম হেরোইন, ৪২৬ গ্রাম কোকেন, ২৮ হাজার ৫০০ বোতল ফেনসিডিল, ১৮ হাজার ৬৫৫ বোতল বিদেশি মদ, ১৮১ লিটার বাংলা মদ, ৪৯৮ বোতল ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৭৬০ কেজি গাঁজা, ১ লাখ ৭৭ হাজার ৯১৭ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৪৮ হাজার ৮৩৫টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট/ইনজেকশন, ৪ হাজার ৬৪২ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ৬০৯ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৩৭২ পিস বিভিন্ন প্রকার ওষুধ ও ৯২ হাজার ৪৬৪টি অ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট।
সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৬৩ জন চোরাচালানি এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৩০৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক ও ১৮ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে ১ হাজার ৫৩৮ জন মায়ানমারের নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত প্রদান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এনএমএম/এমজে