-67aedfe4f158a.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
ধর্মীয় গাম্ভীর্যের সঙ্গে শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে পালিত হবে পবিত্র শবে বরাত। এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগর এলাকায় সব ধরনের আতশবাজি-পটকা ফোটানো, বিস্ফোরক দ্রব্য বেচাকেনা, বহন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শবে বরাতের পবিত্রতা রক্ষা, শান্তিপূর্ণভাবে পালন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগর এলাকায় সব ধরনের আতশবাজি ও পটকা ফোটানো, বিস্ফোরক দ্রব্য বেচাকেনা, বহন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হলো। ডিএমপি অরডিন্যান্স ১৯৭৬-এর ২৮ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
হিজরি সনের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিনগত রাতটি (পবিত্র শবে বরাত) ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে সৌভাগ্যের রাত হিসেবে পরিচিত। এই রাতে বান্দাদের জন্য অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন মহান আল্লাহ তা’আলা।
মহিমান্বিত এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময় মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ, পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত ও জিকিরে মগ্ন থাকেন। অতীতের পাপ ও অন্যায়ের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন। পবিত্র শবেবরাত মুসলমানদের কাছে পবিত্র রমজানের আগমনি বার্তাও নিয়ে আসে। শাবান মাসের পরে আসে পবিত্র রমজান মাস। তাই শবে বরাত থেকেই কার্যত রমজানের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়।