Logo

জাতীয়

জাতীয়করণের দাবি

শিক্ষকদের আন্দোলনে গ্রুপিং

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫:০২

শিক্ষকদের আন্দোলনে গ্রুপিং

ছবি : বাংলাদেশের খবর

জাতীয়করণে দাবিতে ৮ দিন ধরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলন করছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নিজেদের মধ্যে ঐক্য বজায় রেখে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় থাকলেও এখন প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ছেন তারা। রোববার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে একটি পক্ষের বৈঠকের পর শিক্ষকদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে গত ৮ দিন ধরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সারাদেশ থেকে আগত শিক্ষকরা। তাদের কোনো প্রতিনিধি দল রোববার সচিবালয়ে যাননি এবং কোনো রকম বৈঠকও হয়নি। বরং সরকারের পক্ষ থেকে তারা এখনও কোনো সাড়াও পাননি।

অন্যদিকে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে সচিবালয়ের ১নং গেইটে সামনে জাতীয়করণের আশ্বাস পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ সমিতি। 

কল্যাণ সমিতির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম মুকুল বাংলাদেশের খবরকে বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেই চিঠির পর্যালোচনা শেষে সুপারিশ করে ফের প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে পাঠাবে মন্ত্রণালয়। সচিব স্যারের এমন আশ্বাসে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।

যদিও আন্দোলনরত শিক্ষকদের নেতা বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মামুনুর রশিদ খোকন বলছেন, ওরা দালাল। ওদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। সরকার আমাদের সঙ্গে কথা না বললে আমরা রাজপথ থেকে উঠবো না। আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।

এদিকে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আবু শাহীন মো. আসাদুজ্জামান বাংলাদেশের খবরকে বলেন, আমি এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম না। তাই কিছু বলতে পারবো না। বিদ্যালয়ের দায়িত্বে যিনি আছে, তিনি ভালো বলতে পারবেন।

বিদ্যালয় শাখার অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খানকে একাধিক ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। 

তবে বৈঠকে উপস্থিত থাকা একই শাখার যুগ্ম সচিব মো. আসাদুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার স্যার ভালো বলতে পারবেন। আমি এ বিষয়ে কথা বলবো না।

এনএমএম/এমবি

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর