বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ০৫ অক্টোবর ২০১৮

কেউ গৃহহীন থাকবে না না খেয়ে মরবে না

উন্নয়ন মেলা উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংরক্ষিত ছবি


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘২০২০ সালে আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করব আর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করব ২০২১ সালে, সে সময়ে বাংলাদেশ হবে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ। আর ২০৪১ সালে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে, সেভাবেই আমরা আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন অব্যাহত রেখেছি।’ তিনি বলেন, তার সরকারের লক্ষ্যই হচ্ছে এমন একটি দেশ গড়ে তোলা যেখানে কোনো গৃহহীন থাকবে না, কেউ না খেয়ে-বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না এবং সবাই সুন্দরভাবে জীবনযাপনের সুযোগ পাবে প্রধানমন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশ’ স্লোগানে দেশব্যাপী চতুর্থ জাতীয় উন্নয়নমেলার উদ্বোধনকালে এসব বলেন। এ সময় ‘অনলাইন ডিজিটাল পাঠ সহায়িকা’র উদ্বোধন করেন এবং বিভিন্ন জেলার উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই যে বাংলাদেশ খাদ্য, শিক্ষা এবং মেধাসহ সব ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরশীল হবে। সেই লক্ষ্যে দেশকে ধাপে ধাপে এগিয়ে নেওয়ার জন্যই আমরা ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ প্রণয়ন করেছি, যাতে উন্নয়নটা টেকসই হয়।

বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, নতুন প্রজন্মেরই এখন দায়িত্ব বাংলাদেশ এগিয়ে নেওয়ার। তিনি বলেন, আজকের তরুণ আগামী দিনে হবে এদেশের কর্ণধার। কাজেই আমাদের সব আয়োজন তারুণ্যের জন্য। তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েই তার সরকার কাজ করছে।

আজকে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন সেই উন্নয়ন সম্পর্কে মানুষকে ওয়াকিবহাল করার তাগিদ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, এর সুফলটা যেন তারা ভোগ করতে পারে। এর মাধ্যমে নিজের ভাগ্য গড়তে পারে সে বিষয়টা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।

‘তরুণ প্রজন্ম লেখাপড়া শিখে স্বপ্রণোদিত হয়ে নিজেদের মেধা দিয়ে নিজেদের ভাগ্য যেমন গড়বে তেমনি দেশের ভাগ্যও গড়বে। আর সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের এই দেশব্যাপী উন্নয়নমেলার আয়োজন’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী এই উন্নয়নমেলা তরুণ প্রজন্মের জন্য উৎসর্গ করে বলেন, তারা যেন নিজের জীবনকে সুন্দরভাবে গড়তে পারে। সন্ত্রাস, মাদক বা জঙ্গিবাদ- এসব থেকে মুক্ত থেকে তারা নিজেদের সুন্দরভাবে গড়ে তুলবে, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা। তাহলে তারা নিজের ভাগ্য যেমন গড়তে পারবে, দেশকেও তেমনি কিছু দিতে পারবে। তাদের পরিবারগুলোও সুন্দরভাবে বাঁচবে।

ভিডিও কনফারেন্সের সঙ্গে বরগুনা জেলার আমতলী, বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট, নড়াইল জেলা ও রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা এবং বিভিন্ন বিভাগীয় শহর, জেলা-উপজেলার ৫ শতাধিক উন্নয়নমেলা এবং ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলো সংযুক্ত ছিল।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ অনুষ্ঠানে গত ১০ বছরে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ভিডিও চিত্র উপস্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন।

শিক্ষা সমাপ্ত করার পর তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থান এবং আয় রোজগারের পথ ও পাথেয়’র দিকনির্দেশনা দিতে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে এবারের উন্নয়নমেলার আয়োজন করেছে সরকার। ঢাকার আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা প্রাঙ্গণ এবং প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় তিন দিনব্যাপী এই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এসএসসির ‘অনলাইন ডিজিটাল পাঠ সহায়িকা’ উদ্বোধন: উন্নয়নমেলার উদ্বোধনের পর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার্থীদের জন্য ‘অনলাইন ডিজিটাল পাঠ সহায়িকা’র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এই সহায়িকা এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য তার পক্ষ থেকে উপহার বলে ভিডিও কনফারেন্সে দেওয়া বক্তব্যে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখলাম পাসের হার বৃদ্ধি পেলেও সেখানে কয়েকটি বিষয়ে আমাদের ছেলেমেয়েরা একটু পিছিয়ে আছে। এই আধুনিক যুগে, ডিজিটাল যুগে কেউ পিছিয়ে থাকুক সেটা আমরা চাই না।’

ফকিরহাট কি ফকির মুক্ত হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন মেলা-২০১৮-এর উদ্বোধনের পর বিভিন্ন জেলার উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার জনগণের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, ফকিরহাট কি ফকির মুক্ত হয়েছে? উত্তরে জেলা প্রশাসক বলেন, শুধু ফকিরহাট নয়, পুরো বাগেরহাট জেলা এখন ফকির মুক্ত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে একজন ভিক্ষুকও থাকবে না। পর্যায়ক্রমে প্রত্যেক জেলা ভিক্ষুকমুক্ত করা হবে।

অনুষ্ঠানের গণভবন প্রান্তে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। গণভবন থেকে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান। বাসস।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১