আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০১৮
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) এক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ২০ উন্নয়ন প্রকল্প। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৩২ হাজার ৫২৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। গতকাল রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলোর বিস্তারিত সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ সময় মন্ত্রী জানান, প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ১৫ হাজার ৪৯৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা সরবরাহ করা হবে। বাস্ত্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হবে ১১ হাজার ৬৫৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা। অবশিষ্ট ৫ হাজার ৩৭৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসেবে বিদেশি উৎস থেকে সংগ্রহ করা হবে। এক দিনে এত বেশি প্রকল্প অনুমোদনের নজির সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনে নেই। সরকারের শেষ সময়ে এসে বিপুলসংখ্যক প্রকল্প অনুমোদন দেওয়ায় উন্নয়ন কাজে স্থবিরতা দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। দক্ষ জনশক্তি ও অর্থায়নের অভাবে অনেক প্রকল্প ঝুলে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা অনেকের। তবে সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে উন্নয়ন কাজে কোনো সমস্যা হবে না বলে একনেক সভায় দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক পরবর্তী সংবাদ ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, রাজধানীর কেরানীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভূমি অধিগ্রহণে ১ হাজার ৯২০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যয় ধরে একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক। ঘোড়াশাল ও পলাশ ইউরিয়া কারখানা আধুনিকায়নে নেওয়া হয়েছে ১০ হাজার ৪৬০ কোটি ৯১ লাখ টাকার পৃথক প্রকল্প। কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন সেবা দিতে তিনটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিদ্যুৎ পৌঁছাতে নেওয়া প্রকল্পে ব্যয় হবে ১০৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। পানি, পয়ঃনিষ্কাশন, আশ্রয়কেন্দ্র ও ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হবে ২৯৭ কোটি টাকা। আর ত্রাণ পরিবহন সহজ করতে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫৮ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম হতে ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাইনে তরল জ্বালানি পরিবহন প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা। পল্লী এলাকার সড়ক সংস্কারে রুরাল কানেকটিভিটি ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা। উপকূলীয় ও বণ্যাপ্রবণ এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা। ৩০৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয় ধরে কিশোরগঞ্জের মিঠাইনে নির্মিতব্য সেনা স্থাপনার ভূমি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী উপজেলা এবং রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার নদী খাল রক্ষা প্রকল্পে ব্যয় হবে ৩৯৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা। রংপুরের গঙ্গাচড়া ও রংপুর সদর উপজেলায় তিস্তা নদী রক্ষায় ১৬৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নেওয়া প্রকল্প অন্যতম।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১