আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০১৮
আর্থিক উন্নতির পাশাপাশি আমাদের জীবনমান বদলাচ্ছে, সঙ্গে খাবারের ম্যানুর পরিবর্তন হচ্ছে। যার কারণে সবাই তার ম্যানুতে ডিম ও মুরগির মাংস যোগ করছে। এই বৃদ্ধির হার এবং প্রবণতা যদি বাড়তে থাকে, তাহলে ২০২১ সালে মাংস গ্রহণের হার ৮ কেজি প্লাস ও ডিম ১০০ প্লাস হবে। তখন এই সেক্টরে আমাদের বিনিয়োগ ৩০ হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৫০ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়াবে। ইতিবাচক দিক হচ্ছে, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতা বাড়ার কারণে আমাদের দেশে ডিমের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। আমাদের দেশে এখনো ডিম মূলত সিদ্ধ কিংবা রান্না করে খাওয়া হয়। কিন্তু বিদেশে লিকুইড এগ ছাড়াও পাউডার এগ পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের দেশে মুরগির ফারদার প্রসেসিং শুরু হয়েছে। ডিমের ফারদার প্রসেসিংও অচিরেই শুরু হবে। প্রাণিজ উৎস থেকে প্রাপ্ত প্রোটিন খাওয়ার পরিমাণ আরো বাড়াতে হবে। জাপান ও ইসরাইলে প্রতি বছর একেকজন প্রায় ৬০০ ডিম খায়। আমাদের প্রচেষ্টা, ২০২১ সালের মধ্যে মাথাপিছু ডিম গ্রহণের হার হবে ১৫০টি এবং তা আমাদের জন্য যথেষ্ট। বর্তমান সরকার ‘খাদ্য নিরাপত্তা’র পাশাপাশি ‘পুষ্টি নিরাপত্তা’র ওপর জোর দিয়েছে। আমরাও মনে করি, উন্নত দেশ ও জাতি গড়তে হলে অপুষ্টির অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতেই হবে। আমাদের দেশে মুরগির ডিম ও মাংসই হচ্ছে সবচেয়ে সস্তার প্রাণিজ আমিষ। তাই ডিম ও মুরগির মাংসের ইতিবাচক প্রচারের ব্যাপারে তথ্য মন্ত্রণালয়কে আরো মনোযোগী হতে হবে। স্কুলের টিফিনে বাচ্চারা যেন সপ্তাহে অন্তত ২-৩ দিন ১টি করে সিদ্ধ ডিম খেতে পারে, সে বিষয়ে সরকারের উদ্যোগ প্রয়োজন। — সভাপতি, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি)
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১