বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০১৮

রাষ্ট্রপক্ষের সন্তোষ

তারেকের বিষয়ে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত


২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানায় করা হত্যা মামলার রায় ঘোষণার পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, রায় পর্যালোচনার পর প্রয়োজনে উচ্চতর আদালতে আপিল করা হবে।

মামলার প্রধান প্রসিকিউটর সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেছেন, ‘আমরা আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। রায়ে স্বস্তি পেয়েছি। দুটি মামলাতেই ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১৯ জনের যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে। এখন আমরা রায়ের পর্যালোচনা করব। প্রয়োজনে আমাদের সিদ্ধান্ত হলে উচ্চতর আদালতে আপিল করব।’

এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় আইন সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম, পিপি আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া তার সঙ্গে ছিলেন। মামলার প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। তারেক রহমান, আবদুস সালাম পিন্টুরা ষড়যন্ত্রমূলক অপরাধ করেছেন, যা আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। 

এর আগে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে অবস্থিত ঢাকার ১ নম্বর অস্থায়ী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবনের আদেশ দেওয়া হয়েছে। অপর আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।

আলোচিত এ মামলায় ৫১১ সাক্ষীর মধ্যে ২২৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া আরো ২০ জনের সাফাই সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী।

 

 


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১