বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০১৮

মানবসম্পদ সূচক

ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ প্রতীকী ছবি


বৈশ্বিক মানবসম্পদ সূচকে প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। উন্নয়নে বিশ্বের কোন দেশ কতটা সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা রাখে তা বিচার করে বিশ্বব্যাংক গ্রুপ নতুন এই সূচক প্রকাশ করেছে। এই রিপোর্টের লক্ষ্য বিভিন্ন সরকারকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আরো কার্যকর বিনিয়োগে উৎসাহিত করা।  বিশ্বব্যাংকের এই ‘মানবসম্পদ সূচক’ বলছে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ মানবসম্পদ উন্নয়নে ভারত ও পাকিস্তানের তুলনায় এগিয়ে থাকলেও দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে শ্রীলঙ্কা। সূচকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে আফ্রিকার দরিদ্র দেশগুলো। বিশ্বব্যাংকের সদস্য ১৫৭ দেশের মধ্যে সবার পেছনে রয়েছে শাদ আর সাউথ সুদান। শিশুদের আরো সম্ভাবনাময় করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে এশিয়ার দেশগুলো। সূচকের শীর্ষে সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও হংকং।

একটি শিশুর শিক্ষার সুযোগ, স্বাস্থ্যসেবা এবং টিকে থাকার সক্ষমতা বিচার করে ভবিষ্যতে তার উৎপাদনশীলতা এবং আয়ের সম্ভাবনা বোঝার চেষ্টা করেছে বিশ্বব্যাংক। এর ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছে তাদের ‘মানবসম্পদ সূচক’। একই সঙ্গে দেখানো হয়েছে একটি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনাও।

পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার, শিশুদের স্কুলে যাওয়ার গড় সময়, শিক্ষার মান, প্রাপ্তবয়স্কদের অন্তত ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকার হার এবং শিশুদের সঠিক আকারে বেড়ে ওঠার হার- এই পাঁচটি মানদণ্ড ব্যবহার করা হয়েছে সূচক তৈরির ক্ষেত্রে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি শিশু আদর্শ অবস্থায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার পূর্ণ সুযোগ পেয়ে বেড়ে উঠতে পারলে পূর্ণবয়স্ক হওয়ার পর তার উৎপাদনশীলতা যে অবস্থায় পৌঁছানোর কথা, বাংলাদেশে জন্ম হলে উৎপাদনশীলতা হবে তার ৪৮ শতাংশ। 

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতে এ হার ৪৪ শতাংশ, পাকিস্তানে ৩৯ শতাংশ, মিয়ানমারে ৪৭ শতাংশ। আর শ্রীলঙ্কায় ৫৮ শতাংশ, নেপালে ৪৯ শতাংশ। সূচকের শীর্ষে থাকা দেশগুলোর মধ্যে সিঙ্গাপুরে এ হার ৮৮, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় ৮৪ শতাংশ। কানাডায় এই হার ৮০, জার্মানিতে ৭৯, যুক্তরাজ্যে ৭৮, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সে ৭৬, রাশিয়ায় ৭৩, চীনে ৬৭, তুরস্কে ৬৩ ও ব্রাজিলে ৫৬ শতাংশ। সূচকের তলানিতে থাকা শাদে এই হার ২৯ ও সাউথ সুদানে ৩০ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশে পাঁচ বছরের বেশি বয়স পর্যন্ত টিকে যাওয়া শিশুর হার ৯৭ শতাংশ। ভারতে এই হার ৯৬, পাকিস্তানে ৯৩ এবং শ্রীলঙ্কায় ৯৯ শতাংশ। বাংলাদেশে একটি শিশু ১৮ বছর হওয়া পর্যন্ত গড়ে ১১ বছর স্কুলে কাটায়। ভারতে এই সময় গড়ে ১০.২ বছর, পাকিস্তানে ৮.৮ বছর, শ্রীলঙ্কায় ১৩ বছর।   

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে এখন যাদের বয়স ১৫ বছর, তাদের মধ্যে ৮৭ শতাংশের প্রত্যাশিত আয়ু হবে ৬০ বছরের বেশি। এদিক দিয়ে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা রয়েছে একই কাতারে। ভারতে এই হার ৮৩, পাকিস্তানে ৮৪ ও নেপালে ৮৫ শতাংশ।

বাংলাদেশে প্রতি ১০০ শিশুর মধ্যে ৬৪ জন কোনো ধরনের শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই বেড়ে ওঠে। ভারতে এই সংখ্যা ৬২, পাকিস্তানে ৫৫ এবং শ্রীলঙ্কায় ৮৩। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে চলমান বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বার্ষিক সম্মেলনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। 

সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বলেন, এই সূচকে উন্নতির জন্য দেশগুলো স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে মনোযোগী হবে বলে তিনি আশা করছেন।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১